০৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই খাতের সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০২১৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। এই ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার অংশ হিসেবে পর্যবেক্ষণের এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের। যার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে সংস্থাটির একটি দল।

আইএমএফের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। এবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। একটি হচ্ছে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মাধ্যমে রাজস্ব খাতে সংস্কার। অন্যটি আর্থিক খাতের সংস্কার।

কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। চলমান কর্মসূচির সফলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সংস্কারের মূল ক্ষেত্রগুলোতে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে। এ সময় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশে নামতে পারে এবং পরের অর্থবছরে তা আরও কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমে আসবে।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি ও প্রত্যাশার তুলনায় ধীর মূল্যস্ফীতি হ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

এছাড়া, আইএমএফ জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা এবং বৈশ্বিক নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে সম্ভাব্য বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছে।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই খাতের সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ

আপডেট: ১২:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। এই ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার অংশ হিসেবে পর্যবেক্ষণের এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের। যার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে সংস্থাটির একটি দল।

আইএমএফের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। এবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। একটি হচ্ছে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মাধ্যমে রাজস্ব খাতে সংস্কার। অন্যটি আর্থিক খাতের সংস্কার।

কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। চলমান কর্মসূচির সফলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সংস্কারের মূল ক্ষেত্রগুলোতে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে। এ সময় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশে নামতে পারে এবং পরের অর্থবছরে তা আরও কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমে আসবে।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি ও প্রত্যাশার তুলনায় ধীর মূল্যস্ফীতি হ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

এছাড়া, আইএমএফ জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা এবং বৈশ্বিক নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে সম্ভাব্য বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছে।

ঢাকা/এসএইচ