১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা: এবিবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ৪২৭৭ বার দেখা হয়েছে

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ২০২২ সালে বহির্বিশ্বের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা, সামষ্টিক অর্থনীতির যে চাপ, রিজার্ভের যে সংকট গেছে তা গেল ৩৫ বছর দেখেনি দেশের ব্যাংক খাত। গেল বছরের জুন-জুলাইয়ে ভয়াবহ মন্দাতে গেছে দেশ। এ বছরেই টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ যা অকল্পনীয়।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, ডলার সংকট কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি শুরু করায় মূলত তারল্য সংকট দেখা দেয়। ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। এখনো পুরোপুরি সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারেনি। তবে সংকটের মধ্যেও কোন ব্যাংকের আমানতকারীরা টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোন চ্যালেঞ্জ না।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, আগামী জুলাই থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) একক দাম চালু হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দাম নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে। এসব প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কোন ধরনের ভালো সুবিধা পান না। তাদের কোন ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না।

আরও পড়ুন: ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৩ কোটি ডলার

তিনি বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ৬ ও ৯ শতাংশ হারে যে সুদহার বেধে দেওয়া হয়েছিল তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। এখন আসছে মুদ্রানীতিতে যদি সুদহারে ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তারপরও তা বাজারভিত্তিক হবে না বলে মনে করে এবিবি। তবে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন বলেন, গেল বছরের থেকে এখন স্বস্তিতে ফিরছে দেশের ব্যাংক খাত। ২ কিংবা ১টা ব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংকে ডেফার পেমেন্ট বাকি নেই। তবে ২০১৮ বা ২০১৯ সালের মতো অবস্থায় আসতে এখনও বেশ সময় লাগবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা: এবিবি

আপডেট: ০১:২৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ২০২২ সালে বহির্বিশ্বের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা, সামষ্টিক অর্থনীতির যে চাপ, রিজার্ভের যে সংকট গেছে তা গেল ৩৫ বছর দেখেনি দেশের ব্যাংক খাত। গেল বছরের জুন-জুলাইয়ে ভয়াবহ মন্দাতে গেছে দেশ। এ বছরেই টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ যা অকল্পনীয়।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, ডলার সংকট কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি শুরু করায় মূলত তারল্য সংকট দেখা দেয়। ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। এখনো পুরোপুরি সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারেনি। তবে সংকটের মধ্যেও কোন ব্যাংকের আমানতকারীরা টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোন চ্যালেঞ্জ না।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, আগামী জুলাই থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) একক দাম চালু হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দাম নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে। এসব প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কোন ধরনের ভালো সুবিধা পান না। তাদের কোন ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না।

আরও পড়ুন: ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৩ কোটি ডলার

তিনি বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ৬ ও ৯ শতাংশ হারে যে সুদহার বেধে দেওয়া হয়েছিল তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। এখন আসছে মুদ্রানীতিতে যদি সুদহারে ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তারপরও তা বাজারভিত্তিক হবে না বলে মনে করে এবিবি। তবে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন বলেন, গেল বছরের থেকে এখন স্বস্তিতে ফিরছে দেশের ব্যাংক খাত। ২ কিংবা ১টা ব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংকে ডেফার পেমেন্ট বাকি নেই। তবে ২০১৮ বা ২০১৯ সালের মতো অবস্থায় আসতে এখনও বেশ সময় লাগবে।

ঢাকা/এসএ