০৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৯

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৩৬৮ বার দেখা হয়েছে

দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া এই সময়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। তার মধ্যে ফেনীতে মারা গেছেন ২৩ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ‘চলমান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রকাশিত তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এখনও দেশের বন্যা আক্রান্ত জেলা ১১টি। সেখানে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সেগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার। আর চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। আর মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

এখনও দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা রয়েছে ৫০৪টি বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে পানিবন্দি ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বিবরণীতে বলা হয়েছে, বর্তশানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।

আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময়ে অংশ নেবেন যারা

বন্যায় ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয় জন এবং শিশু ১২টি। এদের মধ্যে কুমিল্লায় মারা গেছেন ১৪ জন, ফেনীতে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ছয় জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন এবং মৌলভীবাজারে একজন। এ ছাড়া এই সময়ে মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।

বন্যায় পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও বিবরণীতে জানানো হয়।

বিবরণীতে বলা হয়, ১১টি জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৫১৯টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা এবং ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ৩৫ লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য এবং ৩৫ লাখ টাকা গো-খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

দেশে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৯

আপডেট: ০৪:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া এই সময়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। তার মধ্যে ফেনীতে মারা গেছেন ২৩ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ‘চলমান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রকাশিত তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এখনও দেশের বন্যা আক্রান্ত জেলা ১১টি। সেখানে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সেগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার। আর চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। আর মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

এখনও দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা রয়েছে ৫০৪টি বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে পানিবন্দি ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বিবরণীতে বলা হয়েছে, বর্তশানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।

আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময়ে অংশ নেবেন যারা

বন্যায় ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয় জন এবং শিশু ১২টি। এদের মধ্যে কুমিল্লায় মারা গেছেন ১৪ জন, ফেনীতে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ছয় জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন এবং মৌলভীবাজারে একজন। এ ছাড়া এই সময়ে মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।

বন্যায় পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও বিবরণীতে জানানো হয়।

বিবরণীতে বলা হয়, ১১টি জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৫১৯টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা এবং ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ৩৫ লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য এবং ৩৫ লাখ টাকা গো-খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/এসএইচ