০১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৪৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০টা ১ মিনিটে রাকিবর ওরফে আকিবর নামে ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। রাকিবর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ৩ মাস ধরে রাজশাহী কারাগারে বন্দি ছিলেন রাকিবর। আইনগত সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার রাতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২ জুন সন্ধ্যার পর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামে মোরশেদা খাতুন নামের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে মোরশেদার বাবা আবদুল জাব্বার বাদী হয়ে পরদিন গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এরপর ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে নিম্ন আদালত আসামি রাকিবরসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে আসামির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ সময় উচ্চ আদালত এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল-শুনানি চলতে থাকে।

তবে শেষ পর্যন্ত সবখানেই রাকিবরের ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকে। এরপর আসামি রাকিবর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। তবে প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। এরপর আইনগত সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে বুধবার কারাগারে আসামির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। 

ফাঁসি কার্যকরের সময় রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর

আপডেট: ১০:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০টা ১ মিনিটে রাকিবর ওরফে আকিবর নামে ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। রাকিবর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ৩ মাস ধরে রাজশাহী কারাগারে বন্দি ছিলেন রাকিবর। আইনগত সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার রাতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২ জুন সন্ধ্যার পর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামে মোরশেদা খাতুন নামের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে মোরশেদার বাবা আবদুল জাব্বার বাদী হয়ে পরদিন গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এরপর ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে নিম্ন আদালত আসামি রাকিবরসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে আসামির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ সময় উচ্চ আদালত এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল-শুনানি চলতে থাকে।

তবে শেষ পর্যন্ত সবখানেই রাকিবরের ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকে। এরপর আসামি রাকিবর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। তবে প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। এরপর আইনগত সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে বুধবার কারাগারে আসামির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। 

ফাঁসি কার্যকরের সময় রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ