০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

নরওয়েতে টিকা নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, তদন্তে ফাইজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০৩৬০ বার দেখা হয়েছে

নরওয়েতে করোনার টিকা নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৭৫ বছরের বেশি। এসব মৃত্যুর কারণ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ফাইজার।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নরওয়েতে করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৩ জন। তাদের সকলেরই বয়সই ছিল আশির ওপরে। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, আশির বেশি বয়সী মানুষের টিকা নেওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং কার্যকারিতা কম। কিন্তু পরে যে ৬ জনের মৃত্য হয়েছে, তাদের বয়স আশির কম, আর ৭৫ এর বেশি। 

নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটিতে যেহেতু শুধুমাত্র ফাইজারের টিকাই দেওয়া হচ্ছে, তাই মৃত্যুগুলোর জন্য কাঠগড়ায় উঠবে এই ভ্যাকসিনই। ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরও ১৬ জন কেন মারা গেলেন, তারও কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে।

গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে নরওয়েতে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। এরইমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। কিন্তু বয়স্কদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই সতর্ক হয়ে গেছে দেশটির প্রশাসন। জানা গেছে, বয়স্করা টিকা নেওয়ার পরই বমি হচ্ছে কিংবা জ্বর আসছে। আবার অনেকের টিকা নেওয়ার জায়গাটির আশপাশ দিয়ে ব়্যাশ বের হচ্ছে ও চুলকাচ্ছে। 

অন্যদিকে এসব ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষও। নরওয়ে সরকারকে পাঠানো এক ইমেইলে তারা জানিয়েছে, এখনও মৃত্যুর সংখ্যাটা বিরাট উদ্বেগজনক নয়। তাই দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে।

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

নরওয়েতে টিকা নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, তদন্তে ফাইজার

আপডেট: ১২:০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

নরওয়েতে করোনার টিকা নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৭৫ বছরের বেশি। এসব মৃত্যুর কারণ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ফাইজার।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নরওয়েতে করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৩ জন। তাদের সকলেরই বয়সই ছিল আশির ওপরে। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, আশির বেশি বয়সী মানুষের টিকা নেওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং কার্যকারিতা কম। কিন্তু পরে যে ৬ জনের মৃত্য হয়েছে, তাদের বয়স আশির কম, আর ৭৫ এর বেশি। 

নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটিতে যেহেতু শুধুমাত্র ফাইজারের টিকাই দেওয়া হচ্ছে, তাই মৃত্যুগুলোর জন্য কাঠগড়ায় উঠবে এই ভ্যাকসিনই। ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরও ১৬ জন কেন মারা গেলেন, তারও কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে।

গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে নরওয়েতে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। এরইমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। কিন্তু বয়স্কদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই সতর্ক হয়ে গেছে দেশটির প্রশাসন। জানা গেছে, বয়স্করা টিকা নেওয়ার পরই বমি হচ্ছে কিংবা জ্বর আসছে। আবার অনেকের টিকা নেওয়ার জায়গাটির আশপাশ দিয়ে ব়্যাশ বের হচ্ছে ও চুলকাচ্ছে। 

অন্যদিকে এসব ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষও। নরওয়ে সরকারকে পাঠানো এক ইমেইলে তারা জানিয়েছে, এখনও মৃত্যুর সংখ্যাটা বিরাট উদ্বেগজনক নয়। তাই দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে।