০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

নরসিংদীতে যৌতুকের জন্য প্রাণ গেল নববধূর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৪১২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মাত্র দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল শিল্পী রানী দাসের (১৯)। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার প্রদীপ চন্দ্র দাসের মেয়ে শিল্পী রানী দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের জিনারদী গ্রামের বিমল দাসের ছেলে শ্যামল দাসের।

বিয়ের সময় ছেলের পরিবারকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক ও এক ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়ার কথা ছিল মেয়ের পরিবারের। কিন্তু মেয়ের পরিবার বিয়ের আগের দিন ছেলে পক্ষকে এক লাখ টাকা ও আধাভরি স্বর্ণালংকার দিতে সক্ষম হলেও বাকি আধাভরি স্বর্ণ ও ১০ হাজার টাকা দিতে পারেননি। ফলে বিয়ের সাপ্তাহখানেক পর থেকেই নববধূ শিল্পী রানীর ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। পরে মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে তার স্বজনরা ছেলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে ৬ মাসের সময় চেয়েছিলেন যৌতুকের বাকি টাকা ও স্বর্ণ পরিশোধে। কিন্তু তার আগেই স্বামী শ্যামল ও তার পরিবারের সদস্যরা নববধূ শিল্পী রানী দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলো অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই শুভ চন্দ্র দাস।

সোমবার বিকালে পলাশ থানা পুলিশ নববধূ শিল্পী রানীর লাশ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে নববধূর ভাই শুভ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে স্বামী শ্যামল ও শ্বশুর বিমলকে আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত শ্যামল ও বিমলকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন জানান, নিহত শিল্পী রানীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যামামলা রুজু হয়েছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী শ্যামল ও শ্বশুর বিমলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।

বোরহান/নরসিংদী 

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

নরসিংদীতে যৌতুকের জন্য প্রাণ গেল নববধূর

আপডেট: ১১:০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মাত্র দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল শিল্পী রানী দাসের (১৯)। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার প্রদীপ চন্দ্র দাসের মেয়ে শিল্পী রানী দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের জিনারদী গ্রামের বিমল দাসের ছেলে শ্যামল দাসের।

বিয়ের সময় ছেলের পরিবারকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক ও এক ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়ার কথা ছিল মেয়ের পরিবারের। কিন্তু মেয়ের পরিবার বিয়ের আগের দিন ছেলে পক্ষকে এক লাখ টাকা ও আধাভরি স্বর্ণালংকার দিতে সক্ষম হলেও বাকি আধাভরি স্বর্ণ ও ১০ হাজার টাকা দিতে পারেননি। ফলে বিয়ের সাপ্তাহখানেক পর থেকেই নববধূ শিল্পী রানীর ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। পরে মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে তার স্বজনরা ছেলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে ৬ মাসের সময় চেয়েছিলেন যৌতুকের বাকি টাকা ও স্বর্ণ পরিশোধে। কিন্তু তার আগেই স্বামী শ্যামল ও তার পরিবারের সদস্যরা নববধূ শিল্পী রানী দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলো অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই শুভ চন্দ্র দাস।

সোমবার বিকালে পলাশ থানা পুলিশ নববধূ শিল্পী রানীর লাশ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে নববধূর ভাই শুভ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে স্বামী শ্যামল ও শ্বশুর বিমলকে আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত শ্যামল ও বিমলকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন জানান, নিহত শিল্পী রানীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যামামলা রুজু হয়েছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী শ্যামল ও শ্বশুর বিমলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।

বোরহান/নরসিংদী