০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেখানেই অনিয়ম সেখানেই অ্যাকশন: ইসি রাশেদা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৩৫৫ বার দেখা হয়েছে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে নিয়ে যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ আসবে সেখানেই আমরা তাৎক্ষণিক অ্যাকশন গ্রহণ করব বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের যত আয়োজন, সব নির্বাচন ঘিরেই। তাই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আজ থেকে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। শুধু সেনাবাহিনী নয়, আমাদের যত বাহিনী আছে সবই এখন সুশৃঙ্খল ও উন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, নির্বাচনের মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো অনিয়ম পেলে আপনারা (সাংবাদিক) ছবি তোলেন, প্রমাণ দেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব। যেখানেই অনিয়ম সেখানেই আমাদের অ্যাকশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনাও ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন এর আগে আমরা গাইবান্ধায় ভোটও বন্ধ করেছি।

ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি

ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।

একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেখানেই অনিয়ম সেখানেই অ্যাকশন: ইসি রাশেদা

আপডেট: ০২:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে নিয়ে যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ আসবে সেখানেই আমরা তাৎক্ষণিক অ্যাকশন গ্রহণ করব বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের যত আয়োজন, সব নির্বাচন ঘিরেই। তাই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আজ থেকে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। শুধু সেনাবাহিনী নয়, আমাদের যত বাহিনী আছে সবই এখন সুশৃঙ্খল ও উন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, নির্বাচনের মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো অনিয়ম পেলে আপনারা (সাংবাদিক) ছবি তোলেন, প্রমাণ দেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব। যেখানেই অনিয়ম সেখানেই আমাদের অ্যাকশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনাও ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন এর আগে আমরা গাইবান্ধায় ভোটও বন্ধ করেছি।

ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি

ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।

একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।

ঢাকা/কেএ