০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

নির্বাচন গ্রহণযোগ্যও হতে হবে: সিইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০২৬৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলেই হবে না, গ্রহণযোগ্যও হতে হবে বলে জানিয়েছন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। নয় লক্ষাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। এটি রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলবো বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদের দেওয়া হবে।

সিইসি বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। আমাদের সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং একটা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কোনো সহজ কর্ম নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাশ করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে থিতু হয়েছে।

আরও পড়ুন: জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন: ইসি

ইসি প্রধান আরও জানান, জনগণ যেখানে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমি আপনাদের বলব, প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহণ করবেন। কোনরকম সংশয় রেখে এখান থেকে বিদায় নেবেন না।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তবে এখনও তারিখ ঠিক হয়নি।

জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন। ধাপে ধাপে তাদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

নির্বাচন গ্রহণযোগ্যও হতে হবে: সিইসি

আপডেট: ১২:৩০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলেই হবে না, গ্রহণযোগ্যও হতে হবে বলে জানিয়েছন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। নয় লক্ষাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। এটি রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলবো বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদের দেওয়া হবে।

সিইসি বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। আমাদের সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং একটা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কোনো সহজ কর্ম নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাশ করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে থিতু হয়েছে।

আরও পড়ুন: জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন: ইসি

ইসি প্রধান আরও জানান, জনগণ যেখানে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমি আপনাদের বলব, প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহণ করবেন। কোনরকম সংশয় রেখে এখান থেকে বিদায় নেবেন না।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তবে এখনও তারিখ ঠিক হয়নি।

জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন। ধাপে ধাপে তাদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা/টিএ