০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে: শেখ হাসিনা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৩৬৩ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি চাই, আগামী ৭ জানুয়ারি সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ-সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আজ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে গাইবান্ধা, রাজশাহী জেলা ও মহানগর, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, এ নির্বাচন সত্যিকারভাবে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সুগম হবে।

তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হবো, জনতার জয় হবে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া, কিন্তু থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়।

অনেকে বাংলাদেশ নিয়ে খেলতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে যার যার ভোট সে শান্তিমতো দেবে। সেই পরিবেশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরি। কারণ বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ধরনের খেলা অনেকে খেলতে চায়।

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটাকেই ধ্বংস করবে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবেন, যার যার নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেবে। এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবেন না। কোনো ধরনের সংঘাত আমি চাই না।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে সারা দেশে ২৩৬০ অগ্নিকাণ্ড

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা নির্বাচনটাকে থেকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এটা আমাদের স্লোগান আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। কাজেই আপনাদের পছন্দমতো ভোট দেবেন। কিন্তু কোনো ধরনের গন্ডগোল আমি চাই না। কখনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। আমাদের সহনশীলতা দেখাতে হবে।

সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তপরায়ণতার জবাব দিতে হবে আপনাদের, বাংলাদেশের মানুষকে। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে এর জবাব দেবেন এবং উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখবেন সেটাই আমরা চাই।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালের মতো এ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আবার ভয়াল রূপ নিয়ে মানুষের সামনে হাজির হয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। মায়ের কোলে শিশু মারা গেছে। এ দৃশ্য বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে মানুষ হত্যার ফাঁদপাতে তারা।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আমরা নিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র হচ্ছে দুর্নীতি করা আর সেই সঙ্গে মানুষ খুন করা। এরা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করে। এর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কিছু হতে পারে না।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে: শেখ হাসিনা

আপডেট: ০৬:০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি চাই, আগামী ৭ জানুয়ারি সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ-সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আজ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে গাইবান্ধা, রাজশাহী জেলা ও মহানগর, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, এ নির্বাচন সত্যিকারভাবে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সুগম হবে।

তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হবো, জনতার জয় হবে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া, কিন্তু থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়।

অনেকে বাংলাদেশ নিয়ে খেলতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে যার যার ভোট সে শান্তিমতো দেবে। সেই পরিবেশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরি। কারণ বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ধরনের খেলা অনেকে খেলতে চায়।

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটাকেই ধ্বংস করবে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবেন, যার যার নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেবে। এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবেন না। কোনো ধরনের সংঘাত আমি চাই না।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে সারা দেশে ২৩৬০ অগ্নিকাণ্ড

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা নির্বাচনটাকে থেকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এটা আমাদের স্লোগান আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। কাজেই আপনাদের পছন্দমতো ভোট দেবেন। কিন্তু কোনো ধরনের গন্ডগোল আমি চাই না। কখনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। আমাদের সহনশীলতা দেখাতে হবে।

সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তপরায়ণতার জবাব দিতে হবে আপনাদের, বাংলাদেশের মানুষকে। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে এর জবাব দেবেন এবং উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখবেন সেটাই আমরা চাই।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালের মতো এ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আবার ভয়াল রূপ নিয়ে মানুষের সামনে হাজির হয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। মায়ের কোলে শিশু মারা গেছে। এ দৃশ্য বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে মানুষ হত্যার ফাঁদপাতে তারা।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আমরা নিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র হচ্ছে দুর্নীতি করা আর সেই সঙ্গে মানুষ খুন করা। এরা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করে। এর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কিছু হতে পারে না।

ঢাকা/এসএম