পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি-পন্থীরা ব্যালট ছিনতাই করেছে: তথ্যমন্ত্রী

- আপডেট: ০৬:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
- / ১০৪২২ বার দেখা হয়েছে
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি-পন্থীরা ব্যালট ছিনতাই করেছে। গতকাল ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা এই যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিচার বিভাগের ইতিহাসে, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউভ
মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র সভাপতিত্বে ও শবনম জাহান শিলা এমপির সঞ্চালনায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম সভায় বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দরজা লাথি মেরেছিল। গতকাল তারা ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক সেটি তারা চায় না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জানে যে, তারা ঢাকা বার নির্বাচনে হেরেছে, সেখানে হারার পর তারা বুঝতে পেরেছে যে সুপ্রিম কোর্টে তাদের হার নিশ্চিত। সে কারণে তারা প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক পরে আবার ব্যালট পেপার ছিনতাই করলো। সুতরাং এভাবে তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না ২০১৪ সালের যেমন কারো জন্য থেমে থাকে নাই, ২০১৮ সালের নির্বাচনও কারো জন্য থেমে থাকে নাই আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন কিম্বা এ বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনও কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান নির্বাচন চায় না, বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচন চায় না। কারণ উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উনারা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এ জন্য উনারা নির্বাচন চায় না। তবে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবে। সুতরাং নির্বাচন সবাইকে নিয়েই হবে ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজ নিয়ে অনড় ধর্ম মন্ত্রণালয়
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মহিলা আওয়ামী লীগকে বলবো আমাদের নির্বাচন সন্নিকটে, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী, সুতরাং নারীদের কাছে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার ইতিহাস ও বন্দনা পৌঁছে দিতে হবে, নারীদেরকে সংগঠিত করতে হবে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন, নারীদের সামাজিক মর্যাদা যেভাবে উন্নীত করেছেন, এই বদলে যাওয়ার কাহিনীটা তাদেরকে শোনাতে হবে। আমরা যদি সঠিকভাবে শোনাতে পারি, নারীরা অবশ্যই অন্য কোথাও ভোট দেবে না। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো সেই মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননা ভূষিত করেন অতিথিবৃন্দ।
ঢাকা/এসএ