০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানিই বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথ দেখাবে: প্রধান উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০২২৪ বার দেখা হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে, যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় তা জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না। তাই পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্প, যেমন সৌরবিদ্যুৎ ও বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লি, গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

কার্ল পেজ বলেন, পারমাণবিক শক্তি এখন বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছে নিষিদ্ধ নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই এ প্রযুক্তি গ্রহণ করে তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে। তিনি বাংলাদেশকে উদীয়মান প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যেখানে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক বিকল্প গ্রহণের আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখনই বড় আকারে সৌরবিদ্যুৎসহ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্পগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার সময় এসেছে।

এসময় গুগলের সহ–প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজ পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য ও শূন্য–কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানিই বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথ দেখাবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট: ১২:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে, যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় তা জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না। তাই পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্প, যেমন সৌরবিদ্যুৎ ও বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লি, গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

কার্ল পেজ বলেন, পারমাণবিক শক্তি এখন বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছে নিষিদ্ধ নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই এ প্রযুক্তি গ্রহণ করে তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে। তিনি বাংলাদেশকে উদীয়মান প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যেখানে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক বিকল্প গ্রহণের আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখনই বড় আকারে সৌরবিদ্যুৎসহ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্পগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার সময় এসেছে।

এসময় গুগলের সহ–প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজ পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য ও শূন্য–কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

ঢাকা/এসএইচ