বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশকে শান্ত ও সংযত থাকা এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আশহ্বান জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ আশা করছে যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে,’ বলা হয় বিবৃতিতে।

আজ ভোরে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলা ও গোলাগুলিতে তাদের ২৬ নাগরিক নিহত হয়েছে। আর ভারতের হিসাব অনুযায়ী, ১২ জন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: উভয়কে সংযত হওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের

এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে ফোন করেন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানকে আমি জানিয়েছি, বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং এ অঞ্চলে কোনো ধরনের সংঘাত চায় না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছেন, আমি তাকে বলেছি আমরা শান্তি চাই। এখানে কোনো সংঘাত দেখতে চাই না। ভারতকে একই বার্তা দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি ভারত আমার কাছে কিছু জানতে চায়, আমি নয়াদিল্লিকে একেবারে একই কথা বলব। আগে থেকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।’

ঢাকা/টিএ