১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসে ৪৫ শিশুর মৃত্যু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৩৫৮ বার দেখা হয়েছে

পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ। এ পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এমনকি শিশু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই এই বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন তারা। অন্যদিকে রাজ্যের তরফ থেকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

যেখানে জেলা শহরের সরকারি ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ১০ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও থামানো যাচ্ছে না অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২৪ ঘণ্টায় একাধিক শিশুর মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, বিসি রায় হাসপাতালে একই দিন তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সর্দি ও কাশি নিয়ে তিনটি শিশুই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এমনকি তাদের শ্বাসকষ্ট ছিল। অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়াতেও। এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আরও একটি সরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আর একই দিনে এতগুলো শিশু মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক এবং উদ্বেগ দুটোই বাড়ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা ও বর্ধমানে ৪২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পথে নেমেছেন স্বাস্থ্য সচিব। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের অ্যাডিনো ভাইরাসে সামগ্রিক পরিস্থিতি তাকে জানানো হয়। দীর্ঘ আলোচনায় একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে আদানি গ্রুপ

চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে

অন্যদিকে বাঁকুড়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ও পাঁচ মাস বয়সী ওই দুই শিশুর মৃত্যুর পরপরই আপাতত চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডাঃ সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায় জানান, ইতোমধ্যে হাসপাতালে এ.আর.আই ক্লিনিক খোলা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকরা থাকছেন।

তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে

অন্যদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা রাজ্যসহ কলকাতায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, এমনই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। তার দাবি, কোনো জরুরিকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমনকি পরিষেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসে ৪৫ শিশুর মৃত্যু

আপডেট: ১১:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ। এ পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এমনকি শিশু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই এই বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন তারা। অন্যদিকে রাজ্যের তরফ থেকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

যেখানে জেলা শহরের সরকারি ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ১০ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও থামানো যাচ্ছে না অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২৪ ঘণ্টায় একাধিক শিশুর মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, বিসি রায় হাসপাতালে একই দিন তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সর্দি ও কাশি নিয়ে তিনটি শিশুই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এমনকি তাদের শ্বাসকষ্ট ছিল। অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়াতেও। এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আরও একটি সরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আর একই দিনে এতগুলো শিশু মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক এবং উদ্বেগ দুটোই বাড়ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা ও বর্ধমানে ৪২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পথে নেমেছেন স্বাস্থ্য সচিব। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের অ্যাডিনো ভাইরাসে সামগ্রিক পরিস্থিতি তাকে জানানো হয়। দীর্ঘ আলোচনায় একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে আদানি গ্রুপ

চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে

অন্যদিকে বাঁকুড়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ও পাঁচ মাস বয়সী ওই দুই শিশুর মৃত্যুর পরপরই আপাতত চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডাঃ সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায় জানান, ইতোমধ্যে হাসপাতালে এ.আর.আই ক্লিনিক খোলা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকরা থাকছেন।

তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে

অন্যদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা রাজ্যসহ কলকাতায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, এমনই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। তার দাবি, কোনো জরুরিকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমনকি পরিষেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

ঢাকা/এসএম