০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

পাইকারি–খুচরা ব্যবসায় কমতে পারে ভ্যাট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / ১০৩০৬ বার দেখা হয়েছে

ভ্যাট বসে মূল্য সংযোজনের ওপর। কিন্তু খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা পর্যায়ে তুলনামূলক কম পরিমাণে মূল্য সংযোজন হয়। আরোপিত ভ্যাট সেই তুলনায় অনেক বেশি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হলে মূল্য সংযোজন করতে হবে ৩০ শতাংশের বেশি। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে এত মূল্য সংযোজন হয় না। বড়জোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ মূল্য সংযোজন হয়ে থাকে।

এবার দেখা যাক, জিডিপিতে পাইকারি ও খুচরা খাতের অবদান কেমন। চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরে জিডিপির সাময়িক হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (জিডিপি) বলেছে, চলতি অর্থবছরে চলতি মূল্যে খুচরা ও পাইকারি খাত মিলিয়ে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়। এর মানে উৎপাদন খাতের পর এ খাত থেকেই অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজন হয়েছে। সেই হিসাবে, সবাই যদি ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিত, তাহলে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় হতো। কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম বার্ষিক লেনদেন ভ্যাটমুক্ত। আবার হিসাব-নিকাশে অসুবিধার কারণেও পর্যাপ্ত ভ্যাট আদায় হয় না। এ খাতে গড়ে দুই-তিন হাজার কোটি টাকাও ভ্যাট আদায় হয় না বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে আগামী অর্থবছরে রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর আসতে পারে। কারণ, রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুডের দোকানের খাবারে ভ্যাট কমতে পারে। বর্তমানে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় রেস্তোরাঁর খাবারের দামও বেড়েছে। তাই ভোক্তাকে বেশি ভ্যাট পরিশোধের চাপ থেকে সুরক্ষা দিতে ভ্যাটের হার কমানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সাধারণ রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ভ্যাটের হার হলো ৫ শতাংশ। অবশ্য পাড়া–মহল্লার বেশির ভাগ রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের রসিদ দেওয়া হয় না। আবার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার কম দেখিয়ে ভ্যাট মওকুফ সুবিধা পেয়ে যায়।

শেয়ার করুন

x

পাইকারি–খুচরা ব্যবসায় কমতে পারে ভ্যাট

আপডেট: ০২:৫০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

ভ্যাট বসে মূল্য সংযোজনের ওপর। কিন্তু খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা পর্যায়ে তুলনামূলক কম পরিমাণে মূল্য সংযোজন হয়। আরোপিত ভ্যাট সেই তুলনায় অনেক বেশি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হলে মূল্য সংযোজন করতে হবে ৩০ শতাংশের বেশি। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে এত মূল্য সংযোজন হয় না। বড়জোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ মূল্য সংযোজন হয়ে থাকে।

এবার দেখা যাক, জিডিপিতে পাইকারি ও খুচরা খাতের অবদান কেমন। চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরে জিডিপির সাময়িক হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (জিডিপি) বলেছে, চলতি অর্থবছরে চলতি মূল্যে খুচরা ও পাইকারি খাত মিলিয়ে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়। এর মানে উৎপাদন খাতের পর এ খাত থেকেই অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজন হয়েছে। সেই হিসাবে, সবাই যদি ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিত, তাহলে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় হতো। কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম বার্ষিক লেনদেন ভ্যাটমুক্ত। আবার হিসাব-নিকাশে অসুবিধার কারণেও পর্যাপ্ত ভ্যাট আদায় হয় না। এ খাতে গড়ে দুই-তিন হাজার কোটি টাকাও ভ্যাট আদায় হয় না বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে আগামী অর্থবছরে রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর আসতে পারে। কারণ, রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুডের দোকানের খাবারে ভ্যাট কমতে পারে। বর্তমানে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় রেস্তোরাঁর খাবারের দামও বেড়েছে। তাই ভোক্তাকে বেশি ভ্যাট পরিশোধের চাপ থেকে সুরক্ষা দিতে ভ্যাটের হার কমানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সাধারণ রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ভ্যাটের হার হলো ৫ শতাংশ। অবশ্য পাড়া–মহল্লার বেশির ভাগ রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের রসিদ দেওয়া হয় না। আবার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার কম দেখিয়ে ভ্যাট মওকুফ সুবিধা পেয়ে যায়।