০২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০৪১৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট) ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে শেহবাজ সরকারের শাসনের অবসান এবং দেশটিতে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের দপ্তর আইওয়ান-ই-সদর এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৮ ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (৯ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চিঠি পাঠান। শেহবাজ শরিফ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ আগস্ট। এর তিনদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বুধবার মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।

গত বছরের এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। এরপর নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল তার সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরানকে দমনেও ব্যস্ত ছিল শেহবাজ শরিফের সরকার।

আরও পড়ুন: ইতালির উপকূলে নৌকাডুবে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

অনেকের ধারণা, ইমরান খান যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন— পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে সেই ব্যবস্থা করেছে শেহবাজের জোট সরকার। ইমরানকে প্রথমে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এরপর তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে তারা।

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্লামেন্ট ভাঙা হতো তাহলে তাদের ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হতো।

প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদি ১২ আগস্ট মেয়াদ পূর্ণ করে শেহবাজ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাতেন তাহলে তিনি তা বিলম্ব করতে পারতেন। আর বিলম্ব হলে নির্বাচন কমিশনকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হতো। এই আশঙ্কা থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেহবাজ শরিফ সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে পাকিস্তানে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য ডন

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

আপডেট: ১০:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট) ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে শেহবাজ সরকারের শাসনের অবসান এবং দেশটিতে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের দপ্তর আইওয়ান-ই-সদর এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৮ ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (৯ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চিঠি পাঠান। শেহবাজ শরিফ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ আগস্ট। এর তিনদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বুধবার মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।

গত বছরের এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। এরপর নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল তার সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরানকে দমনেও ব্যস্ত ছিল শেহবাজ শরিফের সরকার।

আরও পড়ুন: ইতালির উপকূলে নৌকাডুবে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

অনেকের ধারণা, ইমরান খান যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন— পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে সেই ব্যবস্থা করেছে শেহবাজের জোট সরকার। ইমরানকে প্রথমে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এরপর তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে তারা।

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্লামেন্ট ভাঙা হতো তাহলে তাদের ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হতো।

প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদি ১২ আগস্ট মেয়াদ পূর্ণ করে শেহবাজ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাতেন তাহলে তিনি তা বিলম্ব করতে পারতেন। আর বিলম্ব হলে নির্বাচন কমিশনকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হতো। এই আশঙ্কা থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেহবাজ শরিফ সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে পাকিস্তানে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য ডন

ঢাকা/টিএ