পাটপণ্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হবে: পাটমন্ত্রী

- আপডেট: ০২:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১০৪০৭ বার দেখা হয়েছে
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে পাটপণ্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় কৃষিপণ্যের মতো পাটেও সব আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে।’
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মন্ত্রী বলেন, ‘এ ছাড়া জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করা হবে। বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের রফতনি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পাটজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে (৫-২৫ ভাগ) নগদ ভর্তুকি প্রদান করছে।’
তিনি বলেন, ‘জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে আরও জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রচারের জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সরকার ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রাসারণ’ প্রকল্পের আওতায় অল্প জমিতে অধিক পাট উৎপাদন, পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করা, পাটচাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পাটচাষিকে বিনামূল্যে উফশী জাতের পাটবীজ সার (ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপিও) এবং বালাইনাশকসহ কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: এই মুহূর্তে নতুন পে-স্কেল বা মহার্ঘ্য ভাতা নয়: অর্থমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীরা, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না।
ঢাকা/এসএ