পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অবরুদ্ধ

- আপডেট: ০৩:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১০৪৩৪ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অস্বচ্ছতার অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীরা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত রিজেন্ট বোর্ডের সভা বাতিল ঘোষণা করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় ভিসির কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুল আলীম ঢাকা পোস্টকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও যোগসাজশ করে প্রায় চূড়ান্ত করা ১০২ জনের গণনিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছিলেন উপাচার্য স্যার। তার মেয়াদ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। তিনি মেয়াদকালের শেষ পর্যায়ে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে যাচ্ছেন। নিজের খেয়াল-খুশিমতো ইচ্ছে মাফিক অনিয়ম ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্য, অদক্ষ্য জনবল নিয়োগ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছেন। রিজেন্ট বোর্ডের সভা শেষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভিযোগের তদন্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধারের একই সঙ্গে গণনিয়োগ বন্ধসহ তার অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
পাবনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন ইয়াজদানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়ার পার আমরা সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে ১০১টি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করে এককভাবে প্রতীকী অনশন করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. এম আবদুল আলীম।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি ও তদন্ত কমিটি। অজ্ঞাত কারণে অনিয়ম ও দুর্নীতির পরও তিনি বহাল তবিয়তে থেকে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একাধিক সূত্র দাবি করছে।
ঢাকা/বিএইচ