০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পিরোজপুরে মোখার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / ১০৪২৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পিরোজপুরে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শনিবার (১৩ মে) সকাল দশটার পর থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে কোথাও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, আবার কোথাও মেঘলা আবহাওয়াও বিরাজ করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, মোখা মোকাবিলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ২১৩টি সাইক্লোন শেল্টার। যেখানে ১ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে আরও ৭০-৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ৭টি উপজেলায় একটি করে ৭টি এবং জেলা সদরে একটি মোট ৮টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে জিআর ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৮ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়াও দুর্যোগ পূর্ববর্তী, চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে জরুরি ভিত্তিতে সেবা দেওয়ার জন্য সিপিবির ১ হাজার ৭০০ সদস্য ও রেড ক্রিসেন্ট এর ৩৫০ জন সদস্য প্রস্তত রয়েছে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, তাদের মোট ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে।

ইন্দুরকানি উপজেলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলেও হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়-বাতাসের কোনো আশঙ্কা দেখছি না এখনো।

আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ

এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকার ৩৪৯ বেরিবাধের প্রায় ১৪৪ কিলোমিটা বেড়িবাঁধ অরক্ষিত রয়েছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাঙন এলাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া হাতে বেশ কিছু জিওব্যাগ প্রস্তুত আছে, যা জরুরি কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে।

জেলা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, আমাদের ২৭ হাজার ৮০০ নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার জেলে রয়েছে যারা গভীর সমূদ্রে মাছ ধরে। তাদের কিছু জেলে এলাকায় ফিরে আসলেও বেশিরভাগ জেলে এখনো সমূদ্রে। জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সংকেত পাওয়া মাত্রই তাদের নিরাপদ স্থানে ফেরার জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

পিরোজপুরে মোখার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু

আপডেট: ১২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পিরোজপুরে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শনিবার (১৩ মে) সকাল দশটার পর থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে কোথাও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, আবার কোথাও মেঘলা আবহাওয়াও বিরাজ করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, মোখা মোকাবিলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ২১৩টি সাইক্লোন শেল্টার। যেখানে ১ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে আরও ৭০-৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ৭টি উপজেলায় একটি করে ৭টি এবং জেলা সদরে একটি মোট ৮টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে জিআর ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৮ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়াও দুর্যোগ পূর্ববর্তী, চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে জরুরি ভিত্তিতে সেবা দেওয়ার জন্য সিপিবির ১ হাজার ৭০০ সদস্য ও রেড ক্রিসেন্ট এর ৩৫০ জন সদস্য প্রস্তত রয়েছে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, তাদের মোট ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে।

ইন্দুরকানি উপজেলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলেও হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়-বাতাসের কোনো আশঙ্কা দেখছি না এখনো।

আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ

এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকার ৩৪৯ বেরিবাধের প্রায় ১৪৪ কিলোমিটা বেড়িবাঁধ অরক্ষিত রয়েছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাঙন এলাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া হাতে বেশ কিছু জিওব্যাগ প্রস্তুত আছে, যা জরুরি কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে।

জেলা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, আমাদের ২৭ হাজার ৮০০ নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার জেলে রয়েছে যারা গভীর সমূদ্রে মাছ ধরে। তাদের কিছু জেলে এলাকায় ফিরে আসলেও বেশিরভাগ জেলে এখনো সমূদ্রে। জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সংকেত পাওয়া মাত্রই তাদের নিরাপদ স্থানে ফেরার জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/এসএম