১১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুঁজিবাজারের কোম্পানিসহ ৬০ প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৫০৮ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণ পুনর্গঠনের জন্য পুঁজিবাজারের কোম্পানিসহ ৬০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তারা বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ-বাদী কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫০ কোটি থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেশিরভাগ আবেদনকারী ১৫ বছরের পুনর্গঠনের সুবিধা চেয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্থিক সংকটে পড়া ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করা। কমিটি নীতি-সহায়তার সুপারিশও করবে যাতে এসব প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারে এবং ব্যাংকগুলো ঋণের বকেয়া আদায়ের সুযোগ পায়।

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ব্যাংকের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছে যেন বাহ্যিক কারণে খেলাপিতে পরিণত হওয়া গ্রাহকদের জন্য ঋণ পুনর্গঠনের প্রস্তাব জমা দেয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণধারীরা এ সুবিধার আওতায় আসবেন।

ঋণ পুনর্গঠনের বৈধ কারণের মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে আজ খুলছে ব্যাংক-বিমা-পুঁজিবাজার

২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩০টি ব্যাংক ৬০টি ক্লায়েন্টের পক্ষে প্রস্তাব জমা দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারের বেক্সিমকো ফার্মা, জেএমআই গ্রুপ ও এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ আবেদনকারী পরিচিত প্রতিষ্ঠান, তবে কিছু আছেন যারা অভ্যাসগতভাবে খেলাপি। আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে আর্থিক ক্ষতির মূল কারণ হিসেবে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা তিন মাসে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

পুঁজিবাজারের কোম্পানিসহ ৬০ প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন

আপডেট: ১২:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণ পুনর্গঠনের জন্য পুঁজিবাজারের কোম্পানিসহ ৬০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তারা বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ-বাদী কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫০ কোটি থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেশিরভাগ আবেদনকারী ১৫ বছরের পুনর্গঠনের সুবিধা চেয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্থিক সংকটে পড়া ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করা। কমিটি নীতি-সহায়তার সুপারিশও করবে যাতে এসব প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারে এবং ব্যাংকগুলো ঋণের বকেয়া আদায়ের সুযোগ পায়।

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ব্যাংকের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছে যেন বাহ্যিক কারণে খেলাপিতে পরিণত হওয়া গ্রাহকদের জন্য ঋণ পুনর্গঠনের প্রস্তাব জমা দেয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণধারীরা এ সুবিধার আওতায় আসবেন।

ঋণ পুনর্গঠনের বৈধ কারণের মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে আজ খুলছে ব্যাংক-বিমা-পুঁজিবাজার

২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩০টি ব্যাংক ৬০টি ক্লায়েন্টের পক্ষে প্রস্তাব জমা দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারের বেক্সিমকো ফার্মা, জেএমআই গ্রুপ ও এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ আবেদনকারী পরিচিত প্রতিষ্ঠান, তবে কিছু আছেন যারা অভ্যাসগতভাবে খেলাপি। আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে আর্থিক ক্ষতির মূল কারণ হিসেবে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা তিন মাসে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/এসএইচ