০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ বিনিয়োগকারীদের ১২ দফা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
  • / ১১৩৮২ বার দেখা হয়েছে

দেশের শেয়ারবাজারের চলমান অস্থিরতায় আজ ২৯ মে ঢাকার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেয়ারবাজার ভালো করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন (ক্যাপমিনাফ)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১২ দফা দাবিগুলো হলো:

১। আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা  করতে হবে।

২। শেয়ারবাজার ভাল করতে আগামী এক বছর সকল ধরণের আইপিও অনুমোদন বন্ধ রাখতে হবে।

৩। বর্তমান নেতিবাচক পুঁজিবাজারে টেকনো ড্রাগস লি: এর আইপিও দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

৪। ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ বন্ধ করতে হবে।

৫। বাইব্যাক আইন কার্যকর করতে হবে।

৬। শেয়ার দর বৃদ্ধি পেলে যেমন কারণ দর্শানো হয়, তেমনি কমলেও এর কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭। পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তনের ইস্যু দেখিয়ে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর আকাশচুম্বী করা হয়েছে, সে সকল কোম্পানির শেয়ার কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮। মিউচ্যুয়াল ফান্ড উন্নয়নে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্বেও নো ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বাজার উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে।

১০। পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা তহবিল গঠন করতে হবে।

১১। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুঁজিবাজার ও স্বচ্ছ্বতা আনয়নে বিএসইসিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

১২। আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ সম্পূর্ণ নি:শর্তভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন: হাতবদল হবে এক কোটি ৮ লাখ শেয়ার

সংগঠনটির সভাপতি মো: রুহুল আমিন আকন্দ সাংবাদিকদের জানান,
দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শেয়ারবাজার আজ চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন। অনেক বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্তমান পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের নানা আশ্বাস ও আহ্বানে নতুন করে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু অপরিপক্কতা ও দূরদর্শীতার অভাব, কিছু বিতর্কিত গোষ্ঠির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায়, বস্তা পঁচা কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়ে বাজার থেকে বেহিসাবি (বিশাল আকারের) অর্থ বের করে নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া ইত্যাদি নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আমরা বিনিয়োগকারীরা খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ করে যেন বিনিয়োগকারীদের বাঁচার মতো পরিবেশ তৈরি করে দেন সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রুহুল আমিন আকন্দ।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ বিনিয়োগকারীদের ১২ দফা

আপডেট: ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

দেশের শেয়ারবাজারের চলমান অস্থিরতায় আজ ২৯ মে ঢাকার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেয়ারবাজার ভালো করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন (ক্যাপমিনাফ)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১২ দফা দাবিগুলো হলো:

১। আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা  করতে হবে।

২। শেয়ারবাজার ভাল করতে আগামী এক বছর সকল ধরণের আইপিও অনুমোদন বন্ধ রাখতে হবে।

৩। বর্তমান নেতিবাচক পুঁজিবাজারে টেকনো ড্রাগস লি: এর আইপিও দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

৪। ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ বন্ধ করতে হবে।

৫। বাইব্যাক আইন কার্যকর করতে হবে।

৬। শেয়ার দর বৃদ্ধি পেলে যেমন কারণ দর্শানো হয়, তেমনি কমলেও এর কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭। পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তনের ইস্যু দেখিয়ে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর আকাশচুম্বী করা হয়েছে, সে সকল কোম্পানির শেয়ার কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮। মিউচ্যুয়াল ফান্ড উন্নয়নে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্বেও নো ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বাজার উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে।

১০। পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা তহবিল গঠন করতে হবে।

১১। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুঁজিবাজার ও স্বচ্ছ্বতা আনয়নে বিএসইসিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

১২। আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ সম্পূর্ণ নি:শর্তভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন: হাতবদল হবে এক কোটি ৮ লাখ শেয়ার

সংগঠনটির সভাপতি মো: রুহুল আমিন আকন্দ সাংবাদিকদের জানান,
দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শেয়ারবাজার আজ চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন। অনেক বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্তমান পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের নানা আশ্বাস ও আহ্বানে নতুন করে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু অপরিপক্কতা ও দূরদর্শীতার অভাব, কিছু বিতর্কিত গোষ্ঠির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায়, বস্তা পঁচা কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়ে বাজার থেকে বেহিসাবি (বিশাল আকারের) অর্থ বের করে নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া ইত্যাদি নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আমরা বিনিয়োগকারীরা খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ করে যেন বিনিয়োগকারীদের বাঁচার মতো পরিবেশ তৈরি করে দেন সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রুহুল আমিন আকন্দ।

ঢাকা/এসএইচ