০২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৩২১ বার দেখা হয়েছে

ন্দোনেশিয়ায় বসা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল জার্মানি। এরপর ফাইনালে এসেও পেনাল্টি শ্যুটআউটেই ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৭ দল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলতি বছরের জুনে অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফরাসিদের হারিয়ে ছিল দলটি। আজ আবারও জার্মান তরুণরা একই গল্প লিখলো। আজ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে  ২-২ গোলে ড্রয়ের পর পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়ে ছোটদের বিশ্বকাপ জয় করলো জার্মানি।

ইন্দোনেশিয়ার সুরাকার্তায় রোববার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে আরও একবার জার্মানির নায়ক হলেন গোলরক্ষক কনস্ট্যান্টিন হেইডি। দীর্ঘদেহী এই গোলরক্ষক আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও শ্যুটআউটে নায়ক হয়েছিলেন। ফাইনালেও দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে গিয়েছেন তিনিই। ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক অ্যাগনিও এদিন নায়ক হতে পারতেন। তবে সেটা হয়নি হেইডির কল্যাণেই।

তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের শুরুটা অবশ্য খুব বেশি জমজমাট ছিল না। কিছুটা ধীরগতির ফুটবলই দেখা গিয়েছে অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালে। শুরুতেই নায়ক হয়েছিলেন হেইডি। ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার বাউব্রির দুর্দান্ত এক শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই গোলরক্ষক। গোল না পেলেও ফ্রান্সই ছিল বল দখলে এগিয়ে। অন্যদিকে নোয়াহ দারউইচ-প্যারিস ব্রুনাররা খেলেছেন চিরায়ত জার্মান কাউন্টার অ্যাটাক।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে জার্মানির গোলটাও এসেছে সেই সূত্র ধরেই। জার্মানির আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ফাউল হয় বক্সে। ভিএআর চেকের পর আসে পেনাল্টি। স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন ব্রুনার। প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগানো হয়নি জার্মানির। পেনাল্টির সম্ভাবনাও এসেছিল, তাতে এ দফায় সাড়া মেলেনি।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল করে বসেন জার্মান অধিনায়ক দারউইচ। বার্সেলোনার এই তরুণের গোলের সুবাদে ২-০ গোলের লিড পেয়ে  যায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। সুরাকার্তার হাজারখানেক দর্শক তখন অপেক্ষায় একপেশে ফাইনালের।

আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

তবে এরপরেই যেন দৃশ্যপট বদলে যায়। দুই মিনিটের ব্যবধানে জালের ঠিকানা খুঁজে পান সাইমন বাউব্রে। এই মিডফিল্ডারের গোলটাই যেন ফ্রেঞ্চ শিবিরে যুক্ত করে বাড়তি উন্মাদনা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটাও তখন পুরোপুরি ফ্রান্সের হাতে। একের পর এক আক্রমণ করে ৮টি কর্ণারও পেয়ে যায় ফ্রান্স। তবে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাথিস অ্যামাগোর শেষ সময়ের গোলটা ম্যাচকে নিয়ে যায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি

আপডেট: ১০:০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ন্দোনেশিয়ায় বসা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল জার্মানি। এরপর ফাইনালে এসেও পেনাল্টি শ্যুটআউটেই ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৭ দল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলতি বছরের জুনে অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফরাসিদের হারিয়ে ছিল দলটি। আজ আবারও জার্মান তরুণরা একই গল্প লিখলো। আজ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে  ২-২ গোলে ড্রয়ের পর পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়ে ছোটদের বিশ্বকাপ জয় করলো জার্মানি।

ইন্দোনেশিয়ার সুরাকার্তায় রোববার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে আরও একবার জার্মানির নায়ক হলেন গোলরক্ষক কনস্ট্যান্টিন হেইডি। দীর্ঘদেহী এই গোলরক্ষক আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও শ্যুটআউটে নায়ক হয়েছিলেন। ফাইনালেও দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে গিয়েছেন তিনিই। ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক অ্যাগনিও এদিন নায়ক হতে পারতেন। তবে সেটা হয়নি হেইডির কল্যাণেই।

তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের শুরুটা অবশ্য খুব বেশি জমজমাট ছিল না। কিছুটা ধীরগতির ফুটবলই দেখা গিয়েছে অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালে। শুরুতেই নায়ক হয়েছিলেন হেইডি। ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার বাউব্রির দুর্দান্ত এক শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই গোলরক্ষক। গোল না পেলেও ফ্রান্সই ছিল বল দখলে এগিয়ে। অন্যদিকে নোয়াহ দারউইচ-প্যারিস ব্রুনাররা খেলেছেন চিরায়ত জার্মান কাউন্টার অ্যাটাক।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে জার্মানির গোলটাও এসেছে সেই সূত্র ধরেই। জার্মানির আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ফাউল হয় বক্সে। ভিএআর চেকের পর আসে পেনাল্টি। স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন ব্রুনার। প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগানো হয়নি জার্মানির। পেনাল্টির সম্ভাবনাও এসেছিল, তাতে এ দফায় সাড়া মেলেনি।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল করে বসেন জার্মান অধিনায়ক দারউইচ। বার্সেলোনার এই তরুণের গোলের সুবাদে ২-০ গোলের লিড পেয়ে  যায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। সুরাকার্তার হাজারখানেক দর্শক তখন অপেক্ষায় একপেশে ফাইনালের।

আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

তবে এরপরেই যেন দৃশ্যপট বদলে যায়। দুই মিনিটের ব্যবধানে জালের ঠিকানা খুঁজে পান সাইমন বাউব্রে। এই মিডফিল্ডারের গোলটাই যেন ফ্রেঞ্চ শিবিরে যুক্ত করে বাড়তি উন্মাদনা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটাও তখন পুরোপুরি ফ্রান্সের হাতে। একের পর এক আক্রমণ করে ৮টি কর্ণারও পেয়ে যায় ফ্রান্স। তবে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাথিস অ্যামাগোর শেষ সময়ের গোলটা ম্যাচকে নিয়ে যায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে।

ঢাকা/কেএ