ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে ২১০ কোম্পানি

- আপডেট: ০৮:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
- / ১০৪০০ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে ফ্লোর প্রাইসের কোম্পানির সংখ্যা। আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) আরও ৩২টি কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ফিরেছে। গত কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৭৮ টির কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে ছিলো। অতএব ফ্লোর প্রাইসে মোট কোস্পানির সংখ্যা দাঁড়ালো ২১০টি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে ফেরা ৩২টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে নাহী অ্যালুমিনিয়াম, রানার অটো, বারাকা পাওয়ার, বিডি ফাইন্যান্স, বিডি অটো কারস, হা ওয়েল টেক্সটাইল, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম ফাইন্যান্স, পাওয়ার গ্রিড, এস্কয়ার নিটিং, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইনফর্মেশন সার্ভিসেস, এসিআই লিমিটেড, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স , তাকাফুল ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ণ ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, সিভিও পেট্রোলিয়াম, স্কয়ার টেক্সটাইল, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, ন্যাশনাল টিউব, স্টাইলক্রাফ্ট, প্রগতি লাইফ, রহিমা ফুডস, ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা অয়েল এবং লিন্ডে বিডি লিমিটেড।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। শুধু প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে পাবলিক ও ব্লক মার্কেট মিলে এ কোম্পানির ৫১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। লেনদেনের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মোট ১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে ৩৮৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনস। এ কোম্পানির শেয়ারদর ২৯ শতাংশ বেড়ে ৭৫৪ টাকায় উঠেছে, যা এ কোম্পানিটির এখন পর্যন্ত রেকর্ড দর। গত জুনের পর থেকে শেয়ারটি প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে।
প্রায় চার মাসে এর দর ৯ গুণের বেশি বেড়েছে। ডিএসইতে দর বৃদ্ধিতে এর পরের অবস্থানে ছিল বিকন ফার্মা, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, বিডিকম অনলাইন ও তমিজুদ্দিন টেক্সটাইল। এসব শেয়ারের দর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বিপরীতে ১৬ শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল বিডি ওয়েল্ডিং।
দায়িত্বশীলদের মতে, গুটিকয়েক ব্যক্তির লেনদেন ও তাঁদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের জন্য এ বাজার, তাহলে সিংহভাগ বিনিয়োগকারী এ বাজার থেকে ফের মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। এখন ফ্লোর প্রাইস দিয়ে দরপতন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে, যা কোনো টেকসই পদক্ষেপ নয়।
এর আগে এক সেমিনারে ফ্লোর প্রাইস ইস্যুতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস দেওয়া বিষয়টি আমিও পছন্দ করি না। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি আমাদের দিতে হয়েছে। তা না হলে বাজারের দরপতন হয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, করোনার মহামারি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় দেশে প্রথমবার ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সীমা) দিয়েছি। এরপর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আশা করছি বাজার স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালেই আমরা সর্বাধুনিক ডাটা সেন্টার পাবো: ইউনুসুর রহমান
ঢাকা/এসএ