বড় সুখবর, কমছে ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবার খরচ

- আপডেট: ০৫:২৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / ১০৩১৪ বার দেখা হয়েছে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং মোবাইল গ্রাহকদের জন্য সুখবর দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট সেবা এবং মোবাইল অপারেটরদের জন্য কর কমানোর ঘোষণা এসেছে। ডিজিটাল খাত ও টেলিযোগাযোগ সেবা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে বাজেটে কর কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার আশা করছে, এসব সিদ্ধান্ত ডিজিটাল সংযোগ বিস্তার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের জন্য সেবা আরও সাশ্রয়ী করতে সহায়ক হবে।
আজ সোমবার (২ জুন) বিকেলে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিতে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এ ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, এখন থেকে ইন্টারনেট সেবা থেকে উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হবে। অর্থাৎ, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্ধেক কম কর দিতে হবে। এর ফলে তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমবে, যা সরাসরি গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট খরচ কমানোর সুযোগ তৈরি করতে পারে। ইন্টারনেট আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠলে সবার জন্য এর ব্যবহার সহজ হবে। একই সঙ্গে, মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার করের পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো এখন থেকে তাদের মোট আয়ের ওপর কম কর দেবে। এতে তাদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়বে এবং তারা সেবার মান উন্নয়ন ও নতুন নতুন প্রযুক্তিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে।
এই পদক্ষেপ মোবাইল গ্রাহকদের উন্নত সেবা এবং আরও সাশ্রয়ী কলরেট ও ডেটা প্যাকেজ পাওয়ার পথ খুলে দেবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আয়-ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।
আরও পড়ুন: বাজেটে শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বোনাস ও গ্র্যাচ্যুইটি সুবিধা
বাজেট উপস্থাপন করা হলেও সংসদ ভেঙে থাকার কারণে কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেবে এবং সেগুলো বিবেচনায় রেখে বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।
চূড়ান্তকরণের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সভার সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে অনুমোদন মিললে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে ১ জুলাই থেকে বাজেট কার্যকর করবেন।
ঢাকা/এসএইচ