০২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব আইএমএফের বোর্ডে উঠছে ৩০ জানুয়ারি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৪১৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের যে প্রস্তাব দিয়েছে তা সংস্থাটির বোর্ডে উপস্থাপন হচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। আশা করা হচ্ছে যে, আইএমএফ নির্বাহী বোর্ড এই ঋণ প্রস্তাব বোর্ডে অনুমোদন হবে। আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গতকাল অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই, যা দারিদ্র্যতা হ্রাসে এবং জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও এখন বৈশ্বিক ধাক্কার প্রভাব মোকাবিলা করছে। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি দেশটির এই ধাক্কা সামনালোর নানা আয়োজনকে স্বাগত জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং আইএমএফ সম্প্রতি এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফের নতুন স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধার (আরএসএফ) অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। আইএমএফ’র লক্ষ্য বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য করা।

আরও পড়ুন: দেশ থেকে অর্থপাচার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে: গভর্নর

বাজেট সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নে আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে গত শনিবার ঢাকায় আসে আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এই দলে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ ছাড়া আরও চার কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের পর্ষদে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন হলে সংস্থাটি ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৬ কোটি ডলার বাংলাদেশ পাবে আগামী মার্চে। পরের প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখবে আইএমএফ।

আইএমএফের পরামর্শে সরকার এরই মধ্যে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইএমএফের শর্তের কারণে নয়, দর বাড়ানো হয়েছে বাড়তি ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতা কমে আসার কারণে। জ্বালানির দর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়, রাজস্ব খাতে সংস্কার, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের পরামর্শ রয়েছে আইএমএফের।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব আইএমএফের বোর্ডে উঠছে ৩০ জানুয়ারি

আপডেট: ০২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের যে প্রস্তাব দিয়েছে তা সংস্থাটির বোর্ডে উপস্থাপন হচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। আশা করা হচ্ছে যে, আইএমএফ নির্বাহী বোর্ড এই ঋণ প্রস্তাব বোর্ডে অনুমোদন হবে। আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গতকাল অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই, যা দারিদ্র্যতা হ্রাসে এবং জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও এখন বৈশ্বিক ধাক্কার প্রভাব মোকাবিলা করছে। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি দেশটির এই ধাক্কা সামনালোর নানা আয়োজনকে স্বাগত জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং আইএমএফ সম্প্রতি এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফের নতুন স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধার (আরএসএফ) অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। আইএমএফ’র লক্ষ্য বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য করা।

আরও পড়ুন: দেশ থেকে অর্থপাচার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে: গভর্নর

বাজেট সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নে আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে গত শনিবার ঢাকায় আসে আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এই দলে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ ছাড়া আরও চার কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের পর্ষদে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন হলে সংস্থাটি ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৬ কোটি ডলার বাংলাদেশ পাবে আগামী মার্চে। পরের প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখবে আইএমএফ।

আইএমএফের পরামর্শে সরকার এরই মধ্যে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইএমএফের শর্তের কারণে নয়, দর বাড়ানো হয়েছে বাড়তি ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতা কমে আসার কারণে। জ্বালানির দর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়, রাজস্ব খাতে সংস্কার, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের পরামর্শ রয়েছে আইএমএফের।

ঢাকা/এসএ