বাংলাদেশ–চীন এক্সিবিশন ২০২৫ সহযোগিতা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

- আপডেট: ১০:৪১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ১০২৭৭ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশ ও চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে আসছে দ্বিতীয় বাংলাদেশ–চীন এক্সিবিশন ২০২৫। আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (ICCB)-তে এই বৃহৎ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
চীনের গণপ্রজাতন্ত্রী দূতাবাস ও চায়না এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (CEAB)-এর যৌথ আয়োজনে এই মেলায় দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি, বিনিয়োগ সংস্থা এবং বাণিজ্য সংগঠন অংশ নেবে।
এটি শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার এক কার্যকর প্ল্যাটফর্ম। এখানে অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ পাবেন।
ইতোমধ্যেই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর আওতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়েছে পদ্মা রেল সংযোগ, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ নানা বড় প্রকল্প। এসব উদ্যোগ শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই নয়, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রদর্শনীতে প্রযুক্তি, প্রকৌশল, নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা, ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফিনান্স, ফিনটেক, পরিবহন, সরবরাহ ব্যবস্থা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ নানা খাতের প্রতিষ্ঠান থাকবে।
বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য এটি চীনা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে নতুন যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি সহযোগিতা এবং বাজার সম্প্রসারণের দরজা খুলে দেবে।
এছাড়া মেলায় থাকবে বিজনেস ডায়ালগ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ইনোভেশন শেয়ারিং সেশন এবং খাতভিত্তিক আলোচনা, যেখানে দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীরা পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবার বিষয়ে মতবিনিময় এবং সম্ভাব্য অংশীদারিত্বের পথ খুঁজে নিতে পারবেন।
এই আয়োজনের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে রয়েছে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এগ্রো-বেইজড প্রোডাক্ট প্রডিউসারস অ্যান্ড মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বাপমা) এবং বাংলাদেশ সাস্টেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরইএ)।
বাংলাদেশ–চীন এক্সিবিশন ২০২৫ দুই দেশের অর্থনৈতিক আস্থা ও সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার এক অসাধারণ সুযোগ এনে দেবে।