০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১
  • / ১০৩০৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণের উপর বেশি নির্ভরশীল হতে হচ্ছে সরকারকে। যে কারণে বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হয় ঋণের সুদ পরিশোধে।

এতে করে চাপ বাড়ছে সরকারের। পরিসংখ্যানে বলে, সুদ বাবদ ব্যয় এখন বাজেটের সর্বোচ্চ একক খাত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের মোট ব্যয় হয় ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু সুদ পরিশোধে খরচ হয় ২৪ হাজার কোটি টাকা।

অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে মোট ব্যয়ের ২৭ শতাংশ ব্যাংক ঋণ, সঞ্চয়পত্র ও বিদেশি ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে চলে গেছে। এর মধ্যে বেশি সুদ গুণতে হয়েছে সঞ্চয়পত্রে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ায় বিপুল অঙ্কের সুদ গুণতে হচ্ছে সরকারকে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে দুর্বলতার কারণেই বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে।

আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার প্রচুর বিনিয়োগ। এর জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে যে পরিমাণ অর্থ জোগান দেয়ার প্রয়োজন, তা জোগান নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। সে জন্যই ঋণ নিতে বাধ্য হয়।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সম্পদ আহরণের সুযোগ কম। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নমনীয় শর্তে ঋণ নিলে তা হবে অর্থনীতির জন্য ভালো।’

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে

আপডেট: ১০:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণের উপর বেশি নির্ভরশীল হতে হচ্ছে সরকারকে। যে কারণে বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হয় ঋণের সুদ পরিশোধে।

এতে করে চাপ বাড়ছে সরকারের। পরিসংখ্যানে বলে, সুদ বাবদ ব্যয় এখন বাজেটের সর্বোচ্চ একক খাত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের মোট ব্যয় হয় ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু সুদ পরিশোধে খরচ হয় ২৪ হাজার কোটি টাকা।

অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে মোট ব্যয়ের ২৭ শতাংশ ব্যাংক ঋণ, সঞ্চয়পত্র ও বিদেশি ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে চলে গেছে। এর মধ্যে বেশি সুদ গুণতে হয়েছে সঞ্চয়পত্রে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ায় বিপুল অঙ্কের সুদ গুণতে হচ্ছে সরকারকে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে দুর্বলতার কারণেই বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে।

আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার প্রচুর বিনিয়োগ। এর জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে যে পরিমাণ অর্থ জোগান দেয়ার প্রয়োজন, তা জোগান নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। সে জন্যই ঋণ নিতে বাধ্য হয়।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সম্পদ আহরণের সুযোগ কম। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নমনীয় শর্তে ঋণ নিলে তা হবে অর্থনীতির জন্য ভালো।’

ঢাকা/এসএ