০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক চায় না এফবিসিসিআই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১০২৪২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যে কোনো সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন তি‌নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়া‌রি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট, আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর দেশীয় শিল্পকে এখনকার মতো সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই ২০২৬ সালের আগে কর ও শুল্ক ছাড় দিয়ে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন তি‌নি।

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে উ‌ল্লেখ ক‌রে ব্যবসায়ী‌দের এ শীর্ষ নেতা ব‌লেন, মূলত বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।

রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন অটোমেশন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার মূল্যায়নের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।  

এফবিসিসিআই প্যানেল উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে বিভিন্ন সংশোধনের কারণে, ২০১২ সালের ভ্যাট আইনটি এখন সেলস ট্যাক্স আইনে পরিণত হয়েছে। তিনি এই আইনের মৌলিক সংস্কারের সুপারিশ করেন। এসময় ব্যবসায়ীরা যেন কর কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার না হন, এজন্য অবশ্যই রাজস্ব বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতার আনার আহ্বান জানান।  

বৈঠকে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন আগামী বাজেটে ম্যান মেড ফাইবারের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার, স্পেয়ার পার্টস আমদানিতে শুল্কের একক হার এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত বস্ত্রখাতে ১৫ শতাংশ কর্পোরেট কর বহাল রাখার দাবি জানান।

আগামী বাজেটে আগাম করের হার যৌক্তিকীকরণ ও ভ্যাটের একক হার প্রণয়নের পরামর্শ দেন কমিটির সদস্য ও ফিকির পরামর্শক স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

এছাড়াও বিভিন্ন সমিতি ও চেম্বারের প্রতিনিধিরা ভ্যাট কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করেন। ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে অটোমেশনের আওতার নিয়ে আসার দাবিও জানান তারা।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম.এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক হারুন অর রশীদ, আমজাদ হোসাইন, মো. নাসের, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, আবুল কাশেম খান ও এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক চায় না এফবিসিসিআই

আপডেট: ১১:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যে কোনো সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন তি‌নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়া‌রি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট, আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর দেশীয় শিল্পকে এখনকার মতো সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই ২০২৬ সালের আগে কর ও শুল্ক ছাড় দিয়ে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন তি‌নি।

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে উ‌ল্লেখ ক‌রে ব্যবসায়ী‌দের এ শীর্ষ নেতা ব‌লেন, মূলত বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।

রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন অটোমেশন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার মূল্যায়নের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।  

এফবিসিসিআই প্যানেল উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে বিভিন্ন সংশোধনের কারণে, ২০১২ সালের ভ্যাট আইনটি এখন সেলস ট্যাক্স আইনে পরিণত হয়েছে। তিনি এই আইনের মৌলিক সংস্কারের সুপারিশ করেন। এসময় ব্যবসায়ীরা যেন কর কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার না হন, এজন্য অবশ্যই রাজস্ব বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতার আনার আহ্বান জানান।  

বৈঠকে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন আগামী বাজেটে ম্যান মেড ফাইবারের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার, স্পেয়ার পার্টস আমদানিতে শুল্কের একক হার এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত বস্ত্রখাতে ১৫ শতাংশ কর্পোরেট কর বহাল রাখার দাবি জানান।

আগামী বাজেটে আগাম করের হার যৌক্তিকীকরণ ও ভ্যাটের একক হার প্রণয়নের পরামর্শ দেন কমিটির সদস্য ও ফিকির পরামর্শক স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

এছাড়াও বিভিন্ন সমিতি ও চেম্বারের প্রতিনিধিরা ভ্যাট কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করেন। ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে অটোমেশনের আওতার নিয়ে আসার দাবিও জানান তারা।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম.এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক হারুন অর রশীদ, আমজাদ হোসাইন, মো. নাসের, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, আবুল কাশেম খান ও এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

ঢাকা/টিএ