বাজেটে বাড়তে পারে সিগারেটের দাম, মোবাইল খরচ
- আপডেট: ১২:৪২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
- / ১০২৬৭ বার দেখা হয়েছে
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক-কর আরোপে পরিবর্তনের কারণে বেশ কিছু পণ্য ও সেবার খরচ বাড়তে ও কমতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটে তামাকজাত পণ্য, পানির ফিল্টার, এলইডি বাল্ব, কম্পিউটারের দাম বাড়তে পারে। মোবাইল কলরেট ও ইন্টারনেটের খরচও রয়েছে বাড়ার তালিকায়। অন্যদিকে কমতে পারে গুঁড়া দুধ, ল্যাপটপের দাম।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
সিগারেট ও জর্দা: সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানো হতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে। তিন স্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাড়বে সব ধরনের সিগারেটের দাম। বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়িয়ে ৪৮ টাকা এবং একই পরিমাণ গুলের মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যয়: বর্তমানে মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহারে দেওয়া সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এতে মোবাইলে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যয় দুই-ই বাড়বে।
কম্পিউটার: দেশে এখন যে কোনো আমদানিকারক কোনো শর্ত ছাড়াই ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিয়ে সব ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারেন। এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে। এতে কম্পিউটারের দাম বাড়তে পারে।
এলইডি বাল্ব: বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে অনেকেই বাসা ও অফিসে এলইডি বাল্ব ব্যবহার করেন। এবারের বাজেটে এই পণ্যের শুল্ক বাড়তে পারে। এলইডি বাল্ব এবং এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট নিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী
দাম কমতে পারে যেসব পণ্যে
ডায়ালাইসিস ব্যয়: কিডনি রোগীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে এবারের বাজেট। ডায়ালাইসিসের প্রধান দুই উপকরণ ফিল্টার ও সার্কিটে থাকা ১০ শতাংশের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে।
প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ: দুই ধরনের গুঁড়া দুধ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-করের পার্থক্য অনেক বেশি থাকায় আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হতে পারে।
ল্যাপটপ: ল্যাপটপ আমদানিতে মোট করভার এখন ৩১ শতাংশ। এতে ল্যাপটপ সাধারণের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। বাড়ছে নকল ল্যাপটপ আমদানি। এ জন্য আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূসক প্রত্যাহার করে করভার ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে পারে।
নির্মাণসামগ্রী: আবাসনসহ বিভিন্ন নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ম্যাঙ্গানিজ ব্যবহৃত হয়। বাজেটে এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
ঢাকা/এসএইচ