০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় থাকছে ৮৩ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • / ১০২৯৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আসছে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে সরকার। বিশ্ববাজারে সার, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হচ্ছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির জন্য প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, সার, গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে এ খাতে ভর্তুকি বেড়েছে। আবার অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ম্ফীতির চাপ প্রশমনে খাদ্য খাতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বেড়েছে। পরিকল্পনার চেয়ে ওএমএসে (খোলাবাজারে) বেশি চাল বিক্রি করতে হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দিতে গিয়েও বেশি ভর্তুকি লাগছে। আবার রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় প্রণোদনার পরিমাণও বেশি হয়েছে। এসব কারণে সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু এ বরাদ্দ দিয়েও ভর্তুকি ব্যয় সামলানো যাচ্ছে না বিধায় সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হবে, তার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সহসাই জ্বালানি পণ্য ও সারের দাম কমার সম্ভাবনা কম। এসব খাতে আসছে অর্থবছরে সরকারকে বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়বে। কারণ নির্বাচনের বছরে সরকার সারের দাম না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য খাতেও সরকারের ভর্তুকি বাড়বে। কারণ সরকারকে আমদানি করে চাল বিক্রি করতে হতে পারে। আবার টিসিবির মাধ্যমে সরকার দেশের এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বরাবরের মতো ভর্তুকির তালিকায় শীর্ষে থাকছে বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। এর পরই থাকছে গ্যাস খাত। এ খাতে সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে সম্প্রতি দেশে গ্যাসের দাম ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য এই খাতে ভর্তুকি এতটা নাও লাগতে পারে। কৃষি খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। এ খাতে প্রধানত সারে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বীজ ও অন্যান্য বাবদ কিছু থাকে। আর খাদ্য খাতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। বাড়তি ভর্তুকির জন্য বাজেট ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। আসছে অর্থবছরে জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হচ্ছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় থাকছে ৮৩ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১২:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আসছে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে সরকার। বিশ্ববাজারে সার, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হচ্ছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির জন্য প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, সার, গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে এ খাতে ভর্তুকি বেড়েছে। আবার অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ম্ফীতির চাপ প্রশমনে খাদ্য খাতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বেড়েছে। পরিকল্পনার চেয়ে ওএমএসে (খোলাবাজারে) বেশি চাল বিক্রি করতে হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দিতে গিয়েও বেশি ভর্তুকি লাগছে। আবার রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় প্রণোদনার পরিমাণও বেশি হয়েছে। এসব কারণে সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু এ বরাদ্দ দিয়েও ভর্তুকি ব্যয় সামলানো যাচ্ছে না বিধায় সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হবে, তার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সহসাই জ্বালানি পণ্য ও সারের দাম কমার সম্ভাবনা কম। এসব খাতে আসছে অর্থবছরে সরকারকে বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়বে। কারণ নির্বাচনের বছরে সরকার সারের দাম না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য খাতেও সরকারের ভর্তুকি বাড়বে। কারণ সরকারকে আমদানি করে চাল বিক্রি করতে হতে পারে। আবার টিসিবির মাধ্যমে সরকার দেশের এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বরাবরের মতো ভর্তুকির তালিকায় শীর্ষে থাকছে বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। এর পরই থাকছে গ্যাস খাত। এ খাতে সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে সম্প্রতি দেশে গ্যাসের দাম ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য এই খাতে ভর্তুকি এতটা নাও লাগতে পারে। কৃষি খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। এ খাতে প্রধানত সারে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বীজ ও অন্যান্য বাবদ কিছু থাকে। আর খাদ্য খাতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। বাড়তি ভর্তুকির জন্য বাজেট ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। আসছে অর্থবছরে জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হচ্ছে।

ঢাকা/টিএ