বাজেট অধিবেশন শুরু হবে বিকেলে

- আপডেট: ১১:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
- / ১০৩৫৫ বার দেখা হয়েছে
জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে বুধবার বিকেল পাঁচটায়। এটি বাজেট অধিবেশন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। এর আগে সংসদ ভবনে বিকেল চারটায় কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বাজেট অধিবেশনের কার্যসূচি নির্ধারণ করা হবে।
এ অধিবেশনেই আগামী ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৫২তম বাজেট। বর্তমান সরকারের পঞ্চম এবং আগামী নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালেরও পঞ্চম বাজেট। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তিনটি মেয়াদের ১৫তম বাজেট।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউভ
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতি বছর ২৯ বা ৩০ জুন বাজেট পাস হলেও এবার ২৫ জুনেই বাজেট পাস হতে পারে। কারণ, এ বছর জুনের শেষ সপ্তাহে ঈদুল আজহার ছুটি পড়তে যাচ্ছে।
বুধবার কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বাজেট পেশের সময়, সম্পূরক বাজেট ও মুল বাজেটের ওপর আলোচনার সময় নির্ধারণ এবং বাজেট পাসের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। স্পিকার নিজেই কার্যউপদেষ্টা কমিটির সভাপতি এবং সংসদ নেতা ও বিরোধী দলীয় নেতাসহ সিনিয়র সদস্যরা কমিটির সদস্য।
সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশনের প্রথম দিন শোক প্রস্তাব পাসের পরেই মূলতবী হয়ে যাবে। চলতি সংসদের সদস্য ঢাকা-১৭ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে এ শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থানে মারা যান আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: আজ থেকে মেট্রোরেল চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত
জানা যায়, মূল্যস্ফীতির চাপসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। ব্যয়ের জন্য রাজস্ব আয় থেকে আসবে ৫ লাখ কোটি টাকা। বাকি টাকা স্থানীয় ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ আগামী অর্থবছরে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ; তেল, গ্যাস ও সারের বিপুল ভর্তুকি প্রদান, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোকে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ঢাকা/এসএম