বাড়ছেনা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

- আপডেট: ০২:১৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
- / ১০৩৬৭ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। একই সঙ্গে তিনি এর ব্যাখ্যাও দিয়েছে। তিনি আরো বলে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষা বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানায়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানায়, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১-২ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
প্রতিমন্ত্রী জানায়, সম্প্রতি চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সমীসা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে বয়স বর্তমানে ৩০ বছরেরে ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সমীমা বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে প্রতিমন্ত্রী জানায়।
ঢাকা/এসএ