০৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

বায়ার্স ক্রেডিটে গ্যারান্টির অনুমোদন লাগবে না

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • / ১০২৬০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের বিপরীতে করপোরেট গ্যারান্টি, পারসোনাল গ্যারান্টি বা তৃতীয়পক্ষের গ্যারান্টি প্রদানের জন্য আমদানিকারকদের এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না। আগে এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

বুধবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এতে আমদানি অর্থায়ন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতদিন এ ধরনের গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে আর এ অনুমোদন নিতে হবে না। আমদানিকারকরা বলছেন, এতে ব্যবসা সহজ হলো। গ্যারান্টি নিতে সময় লাগত। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা কমলো।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোকে পাঠানো হয়। সার্কুলারে বলা হয়, বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় স্বল্প মেয়াদি আমদানি অর্থায়নকে ত্বরান্বিত করতে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ হলে আমদানিকারকের খরচ কম হয়। কারণ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহকারীকে আমদানিকারকের পক্ষে অর্থ দিয়ে থাকে। আমদানিকারক ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে সুদসহ অর্থ পরিশোধ করে। এতে আমদানিকারককের এলসি কমিশন ও কনফারমেশন বাবদ যে খরচ হতো, সেটা হয় না।

উল্লেখ্য, বায়ার্স ক্রেডিটের সুদের চেয়ে এলসি কমিশন ও কনফারমেশন খরচ বেশি।

একই দিন অন্য এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রাভেল এজেন্টরা যাতে ভিসা প্রসেসিং ফি সরাসরি সংশ্নিষ্ট দূতাবাস বা দপ্তরের হিসাবে পাঠাতে পারেন, সে লক্ষ্যে এজেন্টদের ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ড ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ভিসা প্রসেসিং ফি সংগ্রহের জন্য দূতাবাসগুলোর নিযুক্ত এজেন্টদের নামে অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলো ইন্টারন্যাশনাল কার্ড ইস্যু করতে পারবে।

অন্য এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়, এখন থেকে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী রেমিট্যান্সের বিপরীতে পরিশোধিত কর ও ভ্যাটের প্রতি মাসের তথ্য পরবর্তী মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রিপোর্ট করতে হবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বায়ার্স ক্রেডিটে গ্যারান্টির অনুমোদন লাগবে না

আপডেট: ০২:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের বিপরীতে করপোরেট গ্যারান্টি, পারসোনাল গ্যারান্টি বা তৃতীয়পক্ষের গ্যারান্টি প্রদানের জন্য আমদানিকারকদের এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না। আগে এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

বুধবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এতে আমদানি অর্থায়ন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতদিন এ ধরনের গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে আর এ অনুমোদন নিতে হবে না। আমদানিকারকরা বলছেন, এতে ব্যবসা সহজ হলো। গ্যারান্টি নিতে সময় লাগত। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা কমলো।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোকে পাঠানো হয়। সার্কুলারে বলা হয়, বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় স্বল্প মেয়াদি আমদানি অর্থায়নকে ত্বরান্বিত করতে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ হলে আমদানিকারকের খরচ কম হয়। কারণ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহকারীকে আমদানিকারকের পক্ষে অর্থ দিয়ে থাকে। আমদানিকারক ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে সুদসহ অর্থ পরিশোধ করে। এতে আমদানিকারককের এলসি কমিশন ও কনফারমেশন বাবদ যে খরচ হতো, সেটা হয় না।

উল্লেখ্য, বায়ার্স ক্রেডিটের সুদের চেয়ে এলসি কমিশন ও কনফারমেশন খরচ বেশি।

একই দিন অন্য এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রাভেল এজেন্টরা যাতে ভিসা প্রসেসিং ফি সরাসরি সংশ্নিষ্ট দূতাবাস বা দপ্তরের হিসাবে পাঠাতে পারেন, সে লক্ষ্যে এজেন্টদের ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ড ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ভিসা প্রসেসিং ফি সংগ্রহের জন্য দূতাবাসগুলোর নিযুক্ত এজেন্টদের নামে অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলো ইন্টারন্যাশনাল কার্ড ইস্যু করতে পারবে।

অন্য এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়, এখন থেকে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী রেমিট্যান্সের বিপরীতে পরিশোধিত কর ও ভ্যাটের প্রতি মাসের তথ্য পরবর্তী মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রিপোর্ট করতে হবে।

ঢাকা/টিএ