০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বিএনপির বোধশক্তি থাকলে বিধ্বংসী কর্মসূচির দিকে যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১০২৯০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির যদি বোধশক্তি থাকে, তাহলে তারা কোনও বিধ্বংসী কর্মসূচির দিকে যাবে না। তারা এমন কোনও কর্মসূচিতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা হবে।

সোমবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএনপি বলেছিল শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করবে এবং হরতাল দেবে না। কিন্তু গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন‌ ‘সরকারের সব দফতর আমরা দখল করবো এবং রাজপথেই ফয়সালা হবে’। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে, দেখা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন তারা বৈঠক করেন, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট বলেছেন, হরতাল-অবরোধ– এগুলো গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।’

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাক্ষতের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নাগরিক সমাজের খণ্ডিত অংশ। তারা পুরো নাগরিক সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’

ইইউ ও মার্কিন প্রতিনিধি দল সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, কোনও কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তারা কোনও বার্তা দিয়েছে কিনা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। কোনও পর্যায়ের বৈঠকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু কিংবা নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের আলোকে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী এবং সরকারি দলের তোয়াক্কা করে না। সরকারি দলের তোয়াক্কা যদি করতো তাহলে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনটা বাতিল করতো না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিম বাংলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। পরে আরও কয়েকজন হাসপাতালে মারা গেছেন। সেই তুলনায় আমাদের নির্বাচনে একটা ঘুষি লেগেছে। আপনারাই বিচার করুন আমাদের নির্বাচন কত সুষ্ঠু হয়েছে।’

আরও পড়ুন: ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

শক্তিশালী প্রার্থী আসছে না কেন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। বিএনপি মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিল ভোট না দেওয়ার জন্য, এরপরও কোনও কোনও জায়গায় ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং বিএনপি না এলেই যে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না, সেটি সঠিক নয়। অবশ্যই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন বা গণতন্ত্র অনেক শক্তিশালী হয়।’

সোমবার বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি রয়েছে। এদিন আওয়ামী লীগেরও কর্মসূচি আছে। মুখোমুখি অবস্থানে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দুই দলই দেড় কিলোমিটার দূরত্বে সমাবেশ করেছে, কিছুই হয়নি। সোমবারও হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যদি বিএনপি মানুষের ওপর হামলা না চালায়।’

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বিএনপির বোধশক্তি থাকলে বিধ্বংসী কর্মসূচির দিকে যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির যদি বোধশক্তি থাকে, তাহলে তারা কোনও বিধ্বংসী কর্মসূচির দিকে যাবে না। তারা এমন কোনও কর্মসূচিতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা হবে।

সোমবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএনপি বলেছিল শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করবে এবং হরতাল দেবে না। কিন্তু গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন‌ ‘সরকারের সব দফতর আমরা দখল করবো এবং রাজপথেই ফয়সালা হবে’। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে, দেখা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন তারা বৈঠক করেন, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট বলেছেন, হরতাল-অবরোধ– এগুলো গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।’

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাক্ষতের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নাগরিক সমাজের খণ্ডিত অংশ। তারা পুরো নাগরিক সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’

ইইউ ও মার্কিন প্রতিনিধি দল সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, কোনও কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তারা কোনও বার্তা দিয়েছে কিনা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। কোনও পর্যায়ের বৈঠকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু কিংবা নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের আলোকে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী এবং সরকারি দলের তোয়াক্কা করে না। সরকারি দলের তোয়াক্কা যদি করতো তাহলে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনটা বাতিল করতো না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিম বাংলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। পরে আরও কয়েকজন হাসপাতালে মারা গেছেন। সেই তুলনায় আমাদের নির্বাচনে একটা ঘুষি লেগেছে। আপনারাই বিচার করুন আমাদের নির্বাচন কত সুষ্ঠু হয়েছে।’

আরও পড়ুন: ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

শক্তিশালী প্রার্থী আসছে না কেন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। বিএনপি মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিল ভোট না দেওয়ার জন্য, এরপরও কোনও কোনও জায়গায় ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং বিএনপি না এলেই যে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না, সেটি সঠিক নয়। অবশ্যই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন বা গণতন্ত্র অনেক শক্তিশালী হয়।’

সোমবার বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি রয়েছে। এদিন আওয়ামী লীগেরও কর্মসূচি আছে। মুখোমুখি অবস্থানে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দুই দলই দেড় কিলোমিটার দূরত্বে সমাবেশ করেছে, কিছুই হয়নি। সোমবারও হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যদি বিএনপি মানুষের ওপর হামলা না চালায়।’

ঢাকা/এসএ