বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজার এর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী আজকের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। খন্দকার রাশেদ মাকসুদের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি দাবি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

তিনি জানিয়েছেন, বিগত দিনের পুঁজিবাজার এর বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১২ টি লিস্টেড কোম্পানি এর বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে। এ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি ৭টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই রিপোর্ট এর ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। যার আওতায় রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিএসইসি এর কিছু কর্মকর্তা। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ বছর চাকুরি সমাপ্ত করায় বিধি মোতাবেক কমিশন এর এক্সেকিউটিভ ডাইরেক্টর সাইফুর রহমানকে গত ৪/৩/২০২৫ তারিখে অবসর প্রদান করা হয়।

এই ব্যবস্থা নেয়ার কারনে কিছু উশৃংখল কর্মকর্তা বিএসইসি এর চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের কমিশন এর বোর্ড রুম এর চলমান সভায় জোরপূর্বক ঢুকে অবরূদ্ধ করে। তারা কমিশনের মূল ফটক এ তালা দিয়ে দেয়, সিসি ক্যামেরা অফ করে দেয় এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অরাজক, ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে ও পেশি শক্তি প্রদর্শন করে। একই সাথে তারা চেয়ারম্যান এর সদ্য যোগ দেয়া পিএস, যিনি সরকার এর সিনিয়র সহকারী সচিব তাঁকে লাঞ্চিত করে।

আরও পড়ুন: মাকসুদ কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিনিয়োগকারীদেরও বিক্ষোভ

তারা দাবি করে উপরে উল্লেখিত দুই ইস্যুতে নেয়া সিদ্বান্ত তৎক্ষণাৎ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কমিশন এর তৎক্ষণাৎ পদত্যাগ করতে হবে। এর চরম উশৃঙ্খল ভীতিকর পরিস্থিতি ৪ ঘণ্টা চলে। কমিশন অবরুদ্ধ থাকার খবরে এবং বিএসইসি একটি গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠান(CII) হওয়ায় প্রথমে পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বিএসইসি তে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঢাকা/এসএইচ