বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবশেষে অফিসে প্রবেশ

- আপডেট: ০৩:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ১০৬৫২ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিয়ে চলমান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ (০৬ মার্চ) কর্মবিরতি পালন করেছেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিএসইসির কার্যালয়ে কাজ হয়নি, এবং সংস্থাটিতে অচল অবস্থা বিরাজ করছে। জানা গেছে, গতকাল বুধবার (০৫ মার্চ) এক চরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার ঘণ্টার জন্য শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনারকে ‘অবরুদ্ধ’ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, এবং চেয়ারমেন ও কমিশনাররা অফিস ত্যাগ করেন।
আজ বিকাল ৩টার পরে বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং তিন কমিশনার অফিসে উপস্থিত হন। তবে, সকালে অফিসের পরিস্থিতি ছিল একেবারে ভিন্ন—কার্যালয়ের পঞ্চম তলা পুরোপুরি ফাঁকা ছিল, এবং কমিশন কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ কক্ষগুলোর নামফলকও ভেঙে পড়ে। কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।
আজ সকাল থেকে প্রায় ৮-১০ জন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী বিএসইসির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারা দাবি করেছেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান সংকটের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা দায়ী। বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের পাশাপাশি আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদও পদত্যাগ করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বিএসইসিতে শুদ্ধি অভিযান নাকি প্রশাসনিক দুর্বলতা!
বিএসইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে গেছে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে মন্দাভাব বিরাজ করছে, যার ফলে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে শেয়ারবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যদি পুঁজিবাজারের এই সংকট দ্রুত সমাধান না করা হয়, তবে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
এদিকে, গতকাল (০৫ মার্চ) বিএসইসি কর্তৃক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। এর পর থেকেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বেড়ে যায়। একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা এখন আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না, এবং পুঁজিবাজারের দুরবস্থার জন্য বিএসইসি’র শীর্ষ কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন।
ঢাকা/এসএইচ