বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণে অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন বিনিয়োগকারীরা

- আপডেট: ০২:২০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৪৫৮ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে টানা মন্দাভাব, আস্থা ফিরাতে না পারা ও অদক্ষতার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণ দাবি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সংগঠনটির চারজনের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপদেষ্টার পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পুঁজিবাজার সংস্কারে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা’র আয়োজন করেন বিনিয়োগকারীদের সংগঠনটি। সভায় সোমবার স্মারকলিপি প্রদানের কথা জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, একটি দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছে পুঁজিবাজার। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পূর্বের সরকারের শাসনামলে খারাপ অবস্থায় ছিল দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু দুঃখজনক ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল সেই প্রত্যাশা কার্যত আপনাদের সময়োপযোগী তথাপি কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপের অভাবে প্রতি নিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এস আলম পরিবারের ৮১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
এতে বলা হয়, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল বর্তমান দায়িত্ব আসীন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ গত ছয় মাসেরও অধিক সময় পুঁজিবাজারের বিনিয়োকারীদের আস্থা ফেরাতে পারেননি, বরং আস্থার সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। অথচ এই উপমহাদেশের মধ্যে দেউলিয়া রাষ্ট্র উপাধি পাওয়া শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজার সর্ব দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে উপরে অবস্থান করছে। এদিকে দীর্ঘদিন লেনদেন খরার ফলে ব্রোকার হাউজগুলো তাদের পরিচালনা ব্যয়, আয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক ব্রোকারহাউজের ট্রেডও বন্ধ হয়েছে গেছে। এসব সমস্যার কারণে নতুন করে আরো কয়েক লক্ষ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারানোর শংকায় রয়েছে।
বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর বাজারমূলধন হারিয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা, সুচক কমেছে প্রায় ৮শ পয়েন্ট, বিনিয়োগকারী পুঁজি হারালো ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ইতোমধ্যে অনেক বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও মন্তবা করেছেন পুঁজিবাজার পরিচালনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যানের। সবশেষে পুঁজিবাজার এবং বিনিয়োকারীদের বাঁচানোর জন্য বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
ঢাকা/এসএইচ