০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর

বিচারকসংকটে হচ্ছে না হত্যা মামলার বিশেষ বেঞ্চ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০২৪৫ বার দেখা হয়েছে

বছর ঘুরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফিরে এলেই জাতির মনে কিছু স্মৃতি এবং কিছু প্রশ্ন এসে ভর করে। ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর জওয়ানদের হাতে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। পিলখানা ট্রাজেডির ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত বার্ষিকী পালন করে বিজিবি। এদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পিলখানা ট্রাজেডির নিয়ে করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে এ বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হবে।

ঘটনার শুরু যেভাবে

সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়েন এক দল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদেরই একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে পরিবারকে জিম্মি করে ফেলেন জওয়ানরা। পুরো পিলখানায় সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। চারটি প্রবেশ গেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকেন বিদ্রোহীরা।

আরও পড়ুন: ঢাকাসহ আট অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

তারা দরবার হল ও এর আশপাশের এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের উপর গুলি করতে থাকেন। তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকলেও বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হয়নি। দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু করা যাচ্ছে না।

পিলখানা ট্র্যাজেডির ভয়াবহ নৃশংসতার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আলাদা দুটি মামলার বিচার শুরু হয় একসাথে। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট দুই জায়গাতেই হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা, আপিল বিভাগে চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ের। তবে ১৫ বছরেও নিম্ন আদালতে সুরাহা হয়নি বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি। তাই হত্যা ও বিদ্রোহ মামলায় খালাস মিললেও কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না দুই শতাধিক আসামি। এ মামলায় আপিল দ্রুত শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের আকুল আবেদন, এ নিরীহ আসামিদের দিক বিবেচনা করে এবং উভয় দিক বিবেচনা করে এই মামলার শুনানি কার্যক্রম যদি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তাহলে আমার মনে হয় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে মামলা শুরু করতে পারছেন রাষ্ট্রপক্ষ। জানান, ১৩৯ জনের ফাঁসি বহালের পাশাপাশি যাদের সাজা কমানো হয়েছে সে বিষয়েও শক্ত অবস্থান নেবে রাষ্ট্রপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সরকার পক্ষ থেকে আমরা আশা করছি যে ট্রায়েল কোর্ট যাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে এবং যাদেরকে হাইকোর্ট কনফার্ম করেছে বা মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে সেটা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকবে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বিচারক নেই। আশা করা যাচ্ছে বিচারক এলে আলাদা বেঞ্চ করতে হবে। কারণ এটি শুনানির একসাথে শুনতেই পারবে না। তাছাড়া একটানা শুনেও যদি শুনানি করেন তাহলে ২ মাস সময় লেগে যেতে পারে। তবে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিলেন, দুপক্ষের আইনজীবী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতে না হয় বিচারক সংকট আছে কিন্তু নিম্ন আদালতে তো বিচারক সংকট নেই। কিন্তু নিম্ন আদালতের মামলা আজ ১৫ বছর ধরে ট্রায়েল চলছে। এ বিষয়ে তো রাষ্ট্রপক্ষের একটা ব্যাখ্যা থাকা উচিত।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এতজন আসামি তাদের উকিল কতজন। একজন আসামিকে যদি একশজন জেরা করে তাহলে কত সময় লাগে? সময় তো আমাদের জন্য না, সময় লাগছে তাদের জন্যই।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস এই ঘটনায় করা দুই মামলায় আসামি আছেন ৮৫০ জন। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর

বিচারকসংকটে হচ্ছে না হত্যা মামলার বিশেষ বেঞ্চ

আপডেট: ১০:০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বছর ঘুরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফিরে এলেই জাতির মনে কিছু স্মৃতি এবং কিছু প্রশ্ন এসে ভর করে। ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর জওয়ানদের হাতে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। পিলখানা ট্রাজেডির ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত বার্ষিকী পালন করে বিজিবি। এদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পিলখানা ট্রাজেডির নিয়ে করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে এ বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হবে।

ঘটনার শুরু যেভাবে

সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়েন এক দল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদেরই একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে পরিবারকে জিম্মি করে ফেলেন জওয়ানরা। পুরো পিলখানায় সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। চারটি প্রবেশ গেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকেন বিদ্রোহীরা।

আরও পড়ুন: ঢাকাসহ আট অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

তারা দরবার হল ও এর আশপাশের এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের উপর গুলি করতে থাকেন। তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকলেও বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হয়নি। দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু করা যাচ্ছে না।

পিলখানা ট্র্যাজেডির ভয়াবহ নৃশংসতার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আলাদা দুটি মামলার বিচার শুরু হয় একসাথে। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট দুই জায়গাতেই হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা, আপিল বিভাগে চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ের। তবে ১৫ বছরেও নিম্ন আদালতে সুরাহা হয়নি বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি। তাই হত্যা ও বিদ্রোহ মামলায় খালাস মিললেও কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না দুই শতাধিক আসামি। এ মামলায় আপিল দ্রুত শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের আকুল আবেদন, এ নিরীহ আসামিদের দিক বিবেচনা করে এবং উভয় দিক বিবেচনা করে এই মামলার শুনানি কার্যক্রম যদি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তাহলে আমার মনে হয় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে মামলা শুরু করতে পারছেন রাষ্ট্রপক্ষ। জানান, ১৩৯ জনের ফাঁসি বহালের পাশাপাশি যাদের সাজা কমানো হয়েছে সে বিষয়েও শক্ত অবস্থান নেবে রাষ্ট্রপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সরকার পক্ষ থেকে আমরা আশা করছি যে ট্রায়েল কোর্ট যাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে এবং যাদেরকে হাইকোর্ট কনফার্ম করেছে বা মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে সেটা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকবে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বিচারক নেই। আশা করা যাচ্ছে বিচারক এলে আলাদা বেঞ্চ করতে হবে। কারণ এটি শুনানির একসাথে শুনতেই পারবে না। তাছাড়া একটানা শুনেও যদি শুনানি করেন তাহলে ২ মাস সময় লেগে যেতে পারে। তবে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিলেন, দুপক্ষের আইনজীবী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতে না হয় বিচারক সংকট আছে কিন্তু নিম্ন আদালতে তো বিচারক সংকট নেই। কিন্তু নিম্ন আদালতের মামলা আজ ১৫ বছর ধরে ট্রায়েল চলছে। এ বিষয়ে তো রাষ্ট্রপক্ষের একটা ব্যাখ্যা থাকা উচিত।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এতজন আসামি তাদের উকিল কতজন। একজন আসামিকে যদি একশজন জেরা করে তাহলে কত সময় লাগে? সময় তো আমাদের জন্য না, সময় লাগছে তাদের জন্যই।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস এই ঘটনায় করা দুই মামলায় আসামি আছেন ৮৫০ জন। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

ঢাকা/কেএ