০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিডিআর বিদ্রোহ: দুই শতাধিক আসামির জামিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৭৯ বার দেখা হয়েছে

২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় দুই শতাধিক আসামি জামিন পেয়েছেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে, এদিন বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেওয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ পারভেজ হাসান ও ফারুক আহাম্মদ। আর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।

আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার সঙ্গে আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে বাণিজ্য সহযোগিতায় রূপান্তরের আহ্বান

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন বলেন, কতজন জামিন পেয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ কেউই জানে না। তবে আড়াই শতাধিক জামিন পেয়েছেন।

এদিকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর খবর পেয়ে ভোর থেকে বিডিআর জওয়ানদের জামিনের দাবিতে কারাগারের সামনে অবস্থান নেন স্বজনরা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাভোগ করেন এসব আসামি। হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকায় বন্দি ছিলেন অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যরা। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটিয়ে বিচারপ্রার্থীরা কারামুক্ত হওয়ায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন স্বজনরা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বিডিআর বিদ্রোহ: দুই শতাধিক আসামির জামিন

আপডেট: ০৫:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় দুই শতাধিক আসামি জামিন পেয়েছেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে, এদিন বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেওয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ পারভেজ হাসান ও ফারুক আহাম্মদ। আর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।

আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার সঙ্গে আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে বাণিজ্য সহযোগিতায় রূপান্তরের আহ্বান

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন বলেন, কতজন জামিন পেয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ কেউই জানে না। তবে আড়াই শতাধিক জামিন পেয়েছেন।

এদিকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর খবর পেয়ে ভোর থেকে বিডিআর জওয়ানদের জামিনের দাবিতে কারাগারের সামনে অবস্থান নেন স্বজনরা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাভোগ করেন এসব আসামি। হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকায় বন্দি ছিলেন অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যরা। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটিয়ে বিচারপ্রার্থীরা কারামুক্ত হওয়ায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন স্বজনরা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

ঢাকা/এসএইচ