০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • / ১০৩৮৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:করোনা মহামারিতে আমদানি-রফতানি তেমন চাঙ্গা না থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।  এর আগে কোনও অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। সোমবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষে মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৯৪ কোটি ডলার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের জুনে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছর প্রবাসীরা রেমিটেন্স বেশি পাঠিয়েছেন ৬৫৭ কোটি ডলার।অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে তারা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮২০ কোটি মার্কিন ডলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে।

এদিকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। জুন মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় চার হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ১১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

আপডেট: ০৬:২৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:করোনা মহামারিতে আমদানি-রফতানি তেমন চাঙ্গা না থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।  এর আগে কোনও অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। সোমবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষে মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৯৪ কোটি ডলার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের জুনে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছর প্রবাসীরা রেমিটেন্স বেশি পাঠিয়েছেন ৬৫৭ কোটি ডলার।অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে তারা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮২০ কোটি মার্কিন ডলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে।

এদিকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। জুন মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় চার হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ১১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: