বিদায়ী বছরে মেসির গড়া রেকর্ড

- আপডেট: ০৫:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১০৩৪৯ বার দেখা হয়েছে
ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে রয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এই বয়সেও একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছেন তিনি। বুটজোড়া তুলে রাখার আগেই নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে সম্ভব সবকিছুই জিতেছেন তিনি, সেই সঙ্গে গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। এতকিছুর পরেও যেন রেকর্ডের ক্ষুধা মেটেনি লিওর। এখন দেখা যাক বিদায়ী বছরে মেসির গড়া ১২টি রেকর্ড।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
প্রয়াত কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনাকে টপকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি দিন খেলার রেকর্ড মেসির দখলে। জাতীয় দলের হয়ে ম্যারাডোনা খেলেছেন ৬ হাজার ৩৫৭ দিন। ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে মেসি খেলেছেন ৬ হাজার ৪২৭ দিন। যেহেতু মেসি এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তাই এ রেকর্ড যে আরও সমৃদ্ধ হবে তা বলাই যায়।
বিদায়ী বছরের অক্টোবরে পেরুর বিপক্ষে জোড়া গোল করে বন্ধু লুইস সুয়ারেজকে (২৯ গোল) টপকে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক বনে যান মেসি। বর্তমানে এই মহাতারকার মোট গোল ৩১টি।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন মেসির দখলে। তিনি আলবিসেলেস্তেদের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যাও তার। তার বর্তমান গোল সংখ্যা ১০৬টি।
বিদায়ী বছরে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হয়েছেন মেসি। বার্সেলোনা ও পিএসজির জার্সিতে মেসি করেছেন ৭০২ গোল। যেখানে পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর রয়েছে ৭০১ গোল।
কাতারে ২০২২ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে অমর হয়ে গেছেন এলএমটেন। সেই দেশের ক্লাবের হয়েই আবার ২০২২-২৩ মৌসুমে লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতেছেন তিনি। ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন রেকর্ডের মালিক একমাত্র মেসিই। যা আর কারো নেই।
আরও পড়ুন: টিভিতে আজকের খেলা
বিদায়ী বছরে অন্যরকম সেঞ্চুরি করেছেন মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করে ১০০ ভিন্ন ক্লাবের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড গড়েন ক্ষুদে জাদুকর। যা সবচেয়ে বেশি ক্লাবের বিপক্ষে গোল করার রেকর্ড।
মেসির বয়স এখন ৩৬। বার্ধক্য অনেকটা চেপে ধরলেও তিনি ২০ বছর বয়সী তরুণের মতোই খেলে যাচ্ছেন। করে যাচ্ছেন একের পর এক গোল। মায়ামির হয়ে ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচে নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এই ম্যাচে গোলপোস্টের ৩২ মিটার দূর থেকে শট নিয়ে জাল ছুঁয়েছেন তিনি। এর আগে তার রেকর্ড ছিল ৩০ মিটারের।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে গিয়েই চমক দিয়েছেন মেসি। দলটিকে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা পাইয়ে দিয়েছেন। আর সেটাও মাত্র ২৯ দিনের ব্যবধানে। এতো কম সময়ে কোনো ক্লাবের হয়ে শিরোপা জেতেনি আর কেউ। বার্সেলোনায় শিরোপা জয়ের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৭০ দিন, পিএসজিতে ৩৩৬ দিন।
মায়ামির জার্সিতে শিরোপা জিতে অনন্য উচ্চতায় গেছেন এলএমটেন। এটি ছিল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ক্যারিয়ারে ৪৪তম ট্রফি। যা একটি বিশ্বরেকর্ড। শিরোপা জয়ের পথে তিনি ছাড়িয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা দানি আলভেজের ৪৩ ট্রফি জয়ের রেকর্ডকে।
নিজের আরেকটি রেকর্ডকে বড় করেছেন মেসি। যেকোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে এখন ৩৭ গোল তার, খেলেছেন ৫০ ম্যাচ।
গত বছর ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি। ফুটবলের অন্যতম সেরা এই পুরস্কার তার চেয়ে বেশি জেতেননি কেউ। এই পুরস্কারে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পুরস্কার ৫টি।
ঢাকা/কেএ