বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের প্রবেশ আরও কঠিন করছে কানাডা

- আপডেট: ০৬:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১০৭০১ বার দেখা হয়েছে
বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা, তা আগামী বছর আরও কঠোর করা হবে। বুধবার এক বিবৃতিতে দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
২০২৫ সালে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৩৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে— উল্লেখ করে বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, “বাস্তবতা হলো, যারা কানাডায় আসতে চান, তারা এখন থেকে আর চাইলেই এ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না; আর যারা ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছেন, তারা চাইলেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন না।”
প্রসঙ্গত, ভৌগলিক আতনের বিচারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডা বরাবরই ‘অভিবাসীদের স্বর্গ’ বলে পরিচিত। উন্নত জীবনযাত্রা, কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ এবং আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার স্বল্পতাই এর প্রধান কারণ। বিগত বছরগুলোতে দেশটির সরকার সব সময় অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়েছে।
তবে করোনা মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বদলে যায় পরিস্থিতি। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে জোয়ারের মতো আসতে থাকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এবং তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেতে থাকে কানাডার সরকার। দেশটির আবাসন ও নাগরিক পরিষেবা ব্যবস্থায় সৃষ্ট হয় অসহনীয় চাপ।
আরও পড়ুন: লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসরাইল!
এই অবস্থা সামাল দিতে ২০২৩ সাল থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ সীমিত করার পদক্ষেপ নেয় কানাডার সরকার। দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী- কর্মীকে প্রবেশ করতে দিয়েছিল কানাডা। চলমান ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে দেশটিতে প্রবেশ করতে পেরেছেন মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মী।
এছাড়া ২০২৩ সালে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অন্তত ৫ শতাংশকে প্রতি বছর তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেই প্রতিশ্রুতিও রেখেছে সরকার। গত বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৬ দশমিক ৮ শতাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয়। বিদেশি অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ বিষয়ক যেসব সরকারি প্রকল্প-কর্মসূচি ছিল, সেসবও স্থগিত করা হয়েছে।
গত এক বছরে কানাডার কানাডার প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে ২ শতাংশ। দেশটির ডানপন্থি এবং অভিবাসনবিরোধী বিভিন্ন দল এজন্য অভিবাসীদের ঘনত্বকে দায়ী করছেন। জনগণের মধ্যেও ক্রমশ অভিাবাসীবিরোধী মনোভাব শক্ত হচ্ছে। তার ফলাফলও পাওয়া গেছে; সম্প্রতি একটি স্থানীয় নির্বাচনে হেরে গেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টি।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার সরকার।
সূত্র: রয়টার্স
ঢাকা/এসএইচ