০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার অবাধ সুযোগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ১০২৬০ বার দেখা হয়েছে

সকল সমালোচনাকে উপেক্ষা করে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অবাধে কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রস্তাব অনুসারে, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন- ফ্ল্যাট ও জমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য সম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

আয়কর আইন অনুযায়ী- যে কোনো করদাতা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পান। তবে এর বাইরে প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট আয়তনের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত কর পরিশোধ করেও টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট যে কোনো সংস্থা চাইলে পরে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাইটেক পার্কে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ কমেছে

বর্তমানে ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সে হিসেবে সর্বোচ্চ কর হারের মাদ্র অর্ধেক দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হবে।

করদাতাদের আয়কর রিটার্নে ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার অবাধ সুযোগ

আপডেট: ০৬:৩৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

সকল সমালোচনাকে উপেক্ষা করে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অবাধে কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রস্তাব অনুসারে, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন- ফ্ল্যাট ও জমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য সম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

আয়কর আইন অনুযায়ী- যে কোনো করদাতা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পান। তবে এর বাইরে প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট আয়তনের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত কর পরিশোধ করেও টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট যে কোনো সংস্থা চাইলে পরে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাইটেক পার্কে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ কমেছে

বর্তমানে ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সে হিসেবে সর্বোচ্চ কর হারের মাদ্র অর্ধেক দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হবে।

করদাতাদের আয়কর রিটার্নে ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী।

ঢাকা/এসএইচ