১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

বিয়ে-সংসার চাই না, স্বাধীনভাবে বাঁচতে হবে: মিমি চক্রবর্তী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৩৬১ বার দেখা হয়েছে

বছর ঘুরে আবারও চলে এসেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। উৎসব ঘিরে ওপার বাংলার তারকারা যেন ব্যাপক উচ্ছসিত। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর উদযাপন নিয়ে রয়েছে নানান পরিকল্পনা। এবার পুজা নিজ শহর কলকাতায় কীভাবে কাটাবেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন সম্প্রতিই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে পুজা উদযাপন ঘিরে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শুরুতে কৃতজ্ঞতা জানান দুষ্টু কোকিল খ্যাত এই অভিনেত্রী। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে মিমি জানান, ‘আমরা যারা তিন বেলা খেতে পাই তাদের বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন মানুষ মনে করি। যারা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন, পুজোয় বাবা একখানা শাড়ি উপহার দেবেন, তাদের কথা ভিন্ন। যারা মণ্ডপে বাঁশ বাঁধছেন, যারা রোল, ফুচকার স্টল দিচ্ছেন, ঢাকিরা এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন। আমরা যেমন ফেসবুকে বসে বসে কমেন্ট করি, ওরা কিন্তু সেই সময়টুকু পান না। তারা সর্বক্ষণ এই চিন্তায় থাকেন, কীভাবে দুটো পয়সা রোজগার করবেন।’

ইদানিং পুজা উদযাপনে কিছু মানুষের আচারেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মিমি। অভিনেত্রীর অভিযোগ রাস্তায় জোরে বাইক চালানো কিছু যুবকদের নিয়ে। যারা যেকোনো উদযাপনে মেয়েদেরকে দেখিয়ে জোরে বাইক চালান। মিমি বললেন, ‘বর্তমান সময়ে ঔদ্ধত্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাস্তায় লোকজনদের উপর ঔদ্ধত্য দেখিয়ে বান্ধবী পটাতে চায় লোকজন। পুজায় পৌরুষের বহর যেন আরও বেড়ে যায়! সাঁ করে জোরে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যায়! এই পুরুষই প্রেম করে বিয়ের পরে অত্যাচারী হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুন: আমার মতো ভুল কেউ করবেন না: পরীমণি

মূলত পুজার সময়টা নিজ বাড়িতেই কাটান মিমি। সময়টা কীভাবে কাটাচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করলেন মিমি।

মিমি বললেন, ‘প্রতি বছরের মতো এই বছরও কসবার বাড়িতেই থাকব। এই পুজা আমরাই প্রথম শুরু করেছিলাম। লাল-হলুদ রঙের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মা-পাপাও এই পুজার সঙ্গে যুক্ত। উদ্বোধনী সংগীত থেকে শুরু করে তারা পুজার বিভিন্ন বিষয়ে যুক্ত থাকেন প্রতি বছর। প্রাথমিকভাবে পুজায় বাইরে যাওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করলাম।’

তবে এবার পুজায় বিশেষ কেউ থাকছেন না মিমির সঙ্গে। কারণ, সিঙ্গেল লাইফ খুব বেশি উপভোগ করতে পারেন মিমি। তাকে সঙ্গ দেয় প্রাণপ্রিয় পোষ্যরাও। কাজেই তাকে কোনোরকম একাকীত্ব গ্রাস করে না, শুধু ঘুমিয়েই আনন্দে কাটাতে চান মিমি- এমনটিই জানালেন।

মিমি বললেন, ‘আমার মনে হয় যদি কেউ একবার একা থাকা শিখে যায়, তা হলে তার থেকে শক্তিশালী মহিলা আর কেউ নেই। নিজের মতো করে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার শোয়ার ঘর আর পোষ্য সারমেয় ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও থাকতে চাই না আমি। ওদের মুখ দেখে ঘুমোতে যাই, ওদের মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠি। এর বাইরে কিচ্ছু চাই না আমি। এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় না, আমার একটা বিয়ে হোক, সংসার করব। আমি নিজেই পরিপূর্ণ। স্বাধীন ভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে।’

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বিয়ে-সংসার চাই না, স্বাধীনভাবে বাঁচতে হবে: মিমি চক্রবর্তী

আপডেট: ০৬:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

বছর ঘুরে আবারও চলে এসেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। উৎসব ঘিরে ওপার বাংলার তারকারা যেন ব্যাপক উচ্ছসিত। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর উদযাপন নিয়ে রয়েছে নানান পরিকল্পনা। এবার পুজা নিজ শহর কলকাতায় কীভাবে কাটাবেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন সম্প্রতিই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে পুজা উদযাপন ঘিরে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শুরুতে কৃতজ্ঞতা জানান দুষ্টু কোকিল খ্যাত এই অভিনেত্রী। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে মিমি জানান, ‘আমরা যারা তিন বেলা খেতে পাই তাদের বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন মানুষ মনে করি। যারা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন, পুজোয় বাবা একখানা শাড়ি উপহার দেবেন, তাদের কথা ভিন্ন। যারা মণ্ডপে বাঁশ বাঁধছেন, যারা রোল, ফুচকার স্টল দিচ্ছেন, ঢাকিরা এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন। আমরা যেমন ফেসবুকে বসে বসে কমেন্ট করি, ওরা কিন্তু সেই সময়টুকু পান না। তারা সর্বক্ষণ এই চিন্তায় থাকেন, কীভাবে দুটো পয়সা রোজগার করবেন।’

ইদানিং পুজা উদযাপনে কিছু মানুষের আচারেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মিমি। অভিনেত্রীর অভিযোগ রাস্তায় জোরে বাইক চালানো কিছু যুবকদের নিয়ে। যারা যেকোনো উদযাপনে মেয়েদেরকে দেখিয়ে জোরে বাইক চালান। মিমি বললেন, ‘বর্তমান সময়ে ঔদ্ধত্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাস্তায় লোকজনদের উপর ঔদ্ধত্য দেখিয়ে বান্ধবী পটাতে চায় লোকজন। পুজায় পৌরুষের বহর যেন আরও বেড়ে যায়! সাঁ করে জোরে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যায়! এই পুরুষই প্রেম করে বিয়ের পরে অত্যাচারী হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুন: আমার মতো ভুল কেউ করবেন না: পরীমণি

মূলত পুজার সময়টা নিজ বাড়িতেই কাটান মিমি। সময়টা কীভাবে কাটাচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করলেন মিমি।

মিমি বললেন, ‘প্রতি বছরের মতো এই বছরও কসবার বাড়িতেই থাকব। এই পুজা আমরাই প্রথম শুরু করেছিলাম। লাল-হলুদ রঙের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মা-পাপাও এই পুজার সঙ্গে যুক্ত। উদ্বোধনী সংগীত থেকে শুরু করে তারা পুজার বিভিন্ন বিষয়ে যুক্ত থাকেন প্রতি বছর। প্রাথমিকভাবে পুজায় বাইরে যাওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করলাম।’

তবে এবার পুজায় বিশেষ কেউ থাকছেন না মিমির সঙ্গে। কারণ, সিঙ্গেল লাইফ খুব বেশি উপভোগ করতে পারেন মিমি। তাকে সঙ্গ দেয় প্রাণপ্রিয় পোষ্যরাও। কাজেই তাকে কোনোরকম একাকীত্ব গ্রাস করে না, শুধু ঘুমিয়েই আনন্দে কাটাতে চান মিমি- এমনটিই জানালেন।

মিমি বললেন, ‘আমার মনে হয় যদি কেউ একবার একা থাকা শিখে যায়, তা হলে তার থেকে শক্তিশালী মহিলা আর কেউ নেই। নিজের মতো করে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার শোয়ার ঘর আর পোষ্য সারমেয় ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও থাকতে চাই না আমি। ওদের মুখ দেখে ঘুমোতে যাই, ওদের মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠি। এর বাইরে কিচ্ছু চাই না আমি। এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় না, আমার একটা বিয়ে হোক, সংসার করব। আমি নিজেই পরিপূর্ণ। স্বাধীন ভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে।’

ঢাকা/এসএইচ