বেক্সিমকো শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত

- আপডেট: ১১:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৫৩৬ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের লে-অফ করা কোম্পানিগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার তাদের জন্য ২২৩ কোটি টাকা দিয়েছে এবং এখন আরও প্রায় ৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে সুদমুক্ত ঋণ সরবরাহ করবে। এই পরিশোধ রমজান মাসের আগে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গত সপ্তাহে ‘বেক্সিমকো শিল্পপার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনাকারী উপদেষ্টা কমিটি’ এক বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করে এবং সুরাহা পাওয়ার জন্য সুদমুক্ত ঋণ ব্যবস্থা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, তবে এখন আরও ৫৫০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে, শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য সুদমুক্ত ঋণের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পাওনা পরিশোধে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, বেক্সিমকো গ্রুপের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ অত্যাধিক, যা ২৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে বিভিন্ন সম্পত্তি বন্ধক রয়েছে, যার মূল্য ৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৩,৫৫১ কোটি টাকা
কানুনজ্ঞ আহসানুল করিম বলেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল। তিনি মনে করেন, বেক্সিমকোর কারখানাগুলো সচল রাখা জরুরি, কিন্তু সরকার সে পথে না গিয়ে অন্যান্য ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ প্রক্রিয়া নিয়ে সরকার সাবধানী পদক্ষেপ নিতে চাইছে যাতে এই ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে উদাহরণ না হয়ে দাঁড়ায়।
ঢাকা/এসএইচ