বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংরক্ষণের তথ্য জানতে চায় হাইকোর্ট
![](https://businessjournal24.com/wp-content/themes/newsflashpro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট: ১১:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
- / ১০২৪৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দেশের ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক যুগে (২০১০ সাল থেকে চলতি মাস পর্যন্ত) কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একই সময়ে (২০১০ সাল থেকে) কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্যও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ-সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে প্রতিপালন না হওয়ায় জনস্বার্থে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ইউজিসি আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং অসচ্ছলদের ৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা রয়েছে।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের চার ধারা অনুযায়ী প্রতি বছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং মেধাবীদের জন্য ৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার কথা। আইনের ৯ ধারার ৬ উপধারা অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের বরাদ্দ করা একটি সুনির্দিষ্ট অংশ গবেষণার জন্য রাখার কথা। এই হিসাবগুলো পাঠাতে হবে ইউসিজির কাছে। ইউজিসি পরে এই প্রতিবেদন পাঠাবে মন্ত্রণালয়ের কাছে। পরে মন্ত্রণালয় পাঠাবে সংসদীয় কমিটির কাছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এগুলোর কিছুই যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। এজন্য আমরা কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংশ্নিষ্টদের কাছে তথ্যও চেয়েছিলাম, জানার চেষ্টা করেছি। তাতে দেখা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কোটা ও গবেষণার কাজে টাকা বরাদ্দ করেনি।