০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

বৈশ্বিক সরকারি ঋণ আরও দ্রুতগতিতে বাড়বে: আইএমএফ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৪০৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট সরকারি ঋণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়াবে। যা দাঁড়াবে বৈশ্বিক মোট জিডিপির ৯৩ শতাংশে। এরপর বৈশ্বিক সরকারি ঋণ পূর্বাভাসের চেয়ে আরও দ্রুতগতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনে জিডিপির ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণের সংকোচন প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি।

সম্প্রতি আইএমএফ তাদের সবশেষ ফিসকাল মনিটর প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি ঋণ বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৯৩ শতাংশে পৌঁছাবে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ১০০ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারির সময় এই ঋণের পরিমাণ রেকর্ড জিডিপির ৯৯ শতাংশে উঠেছিল।

ভবিষ্যতে ঋণের স্তর বর্তমান পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমএফ। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতির দেশের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এই আশঙ্কা বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক খাতে আমানত কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে দেশে রাজস্ব নীতির অনিশ্চয়তা বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে কর আদায় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতানৈক্য। একই সময়ে পরিবেশ রক্ষায় ব্যয় বৃদ্ধি, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণ, নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জসহ অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয়ের কারণে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে আইএমএফ বলছে, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং নিম্ন বেকারত্বের বর্তমান পরিস্থিতি, এটি নিশ্চিত জন্য একটি আদর্শ সময়। তবে ২০২৩ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে গড়ে ১ শতাংশ জিডিপির প্রচেষ্টা ঋণ কমানো বা স্থিতিশীল করার জন্য পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করে সংস্থাটি।

এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণের সংকোচন প্রয়োজন বলেও মনে করে আইএমএফ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বৈশ্বিক সরকারি ঋণ আরও দ্রুতগতিতে বাড়বে: আইএমএফ

আপডেট: ১১:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট সরকারি ঋণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়াবে। যা দাঁড়াবে বৈশ্বিক মোট জিডিপির ৯৩ শতাংশে। এরপর বৈশ্বিক সরকারি ঋণ পূর্বাভাসের চেয়ে আরও দ্রুতগতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনে জিডিপির ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণের সংকোচন প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি।

সম্প্রতি আইএমএফ তাদের সবশেষ ফিসকাল মনিটর প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি ঋণ বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৯৩ শতাংশে পৌঁছাবে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ১০০ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারির সময় এই ঋণের পরিমাণ রেকর্ড জিডিপির ৯৯ শতাংশে উঠেছিল।

ভবিষ্যতে ঋণের স্তর বর্তমান পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমএফ। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতির দেশের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এই আশঙ্কা বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক খাতে আমানত কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে দেশে রাজস্ব নীতির অনিশ্চয়তা বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে কর আদায় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতানৈক্য। একই সময়ে পরিবেশ রক্ষায় ব্যয় বৃদ্ধি, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণ, নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জসহ অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয়ের কারণে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে আইএমএফ বলছে, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং নিম্ন বেকারত্বের বর্তমান পরিস্থিতি, এটি নিশ্চিত জন্য একটি আদর্শ সময়। তবে ২০২৩ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে গড়ে ১ শতাংশ জিডিপির প্রচেষ্টা ঋণ কমানো বা স্থিতিশীল করার জন্য পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করে সংস্থাটি।

এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণের সংকোচন প্রয়োজন বলেও মনে করে আইএমএফ।

ঢাকা/এসএইচ