০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ ব্যবস্থা চালু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৯৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চালু হলো ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’। এখন থেকে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে এবং বিমা পণ্য বিপণন ও বিক্রির ব্যবসা করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স (Bancassurance) প্রবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৭(১)(ল) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে সকল তফসিলি ব্যাংক বিমা কোম্পানির ‘কর্পোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বিমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় ব্যবসা ১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে করতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকাস্যুরেন্স একটি ফরাসি শব্দ। ১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্স ও স্পেনে প্রথম চালু করে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে জীবনবিমা পলিসি বিক্রি হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।  প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি চালু হয় প্রায় তিন যুগ আগে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও ব্যাংকাস্যুরেন্সে সফল হয়েছে।

‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ নীতিমালায় যা আছে

অনুমোদিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যাংকাস্যুরেন্স বাস্তবায়িত হবে মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে। সহজ কথায় বলতে গেলে বিমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ রয়েছে যে বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তুলনামূলক কম, তাই ব্যাংকাস্যুরেন্স হতে পারে মানুষের ভরসার জায়গা।

আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত আজ

বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। এজন্য বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে কোনো ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এ জন্য বিমা কোম্পানিকে আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যাংকের মোট শাখা রয়েছে ১১ হাজার ২৩৯টি। এর মধ্যে গ্রামে শাখা আছে ৫ হাজার ২৮৭টি।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ ব্যবস্থা চালু

আপডেট: ০৬:১৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

চালু হলো ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’। এখন থেকে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে এবং বিমা পণ্য বিপণন ও বিক্রির ব্যবসা করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স (Bancassurance) প্রবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৭(১)(ল) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে সকল তফসিলি ব্যাংক বিমা কোম্পানির ‘কর্পোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বিমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় ব্যবসা ১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে করতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকাস্যুরেন্স একটি ফরাসি শব্দ। ১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্স ও স্পেনে প্রথম চালু করে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে জীবনবিমা পলিসি বিক্রি হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।  প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি চালু হয় প্রায় তিন যুগ আগে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও ব্যাংকাস্যুরেন্সে সফল হয়েছে।

‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ নীতিমালায় যা আছে

অনুমোদিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যাংকাস্যুরেন্স বাস্তবায়িত হবে মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে। সহজ কথায় বলতে গেলে বিমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ রয়েছে যে বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তুলনামূলক কম, তাই ব্যাংকাস্যুরেন্স হতে পারে মানুষের ভরসার জায়গা।

আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত আজ

বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। এজন্য বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে কোনো ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এ জন্য বিমা কোম্পানিকে আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যাংকের মোট শাখা রয়েছে ১১ হাজার ২৩৯টি। এর মধ্যে গ্রামে শাখা আছে ৫ হাজার ২৮৭টি।

ঢাকা/কেএ