ব্যাংক একীভূতকরণে আমানতকারীদের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলো একে অপরের সাথে স্বেচ্ছায় একীভুত হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে যারা এই সুবিধা নেবে না তাদের ২০২৫ সালের মার্চের পর বাধ্যতামূলকভাবে একীভুত করা হবে।

মেজবাউল হক বলেন, ‘পোর্ট আর ইপিবিআর আমাদের যে গ্যাপটা সেখান থেকেই ট্রেড ক্রেডিটের গ্যাপটা এসেছে। এটা নিয়ে অলরেডি দুটো কমিটি কাজ করছে আসলে কোন জায়গায় কি হচ্ছে। আমাদের অ্যাকাউন্টিং আর ওদের অ্যাকাউন্টিংয়ে কিছু পার্থক্য আছে। আমরা সেটাকে অ্যাডরেস করার চেষ্টা করছি।’

এসময় বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র আরো জানান, ডলারের দাম কারসাজি করে যেসব মানিচেঞ্জার ও ব্যাংকগুলো অতি মুনাফা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জড়িতদের চিহ্নিত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে।

২০১৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণ অনিয়ম-জালিয়াতিতে ডুবে যায় ফার্মার্স ব্যাংক। ভোগান্তিতে পড়েন আমানতকারীরা। ২০১৮ সালে চারটি সরকারি ব্যাংক ও আইসিবি ব্যাংকটির বড় অংশ অধিগ্রহণের পর পদ্মা নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করলেও সুফল মেলেনি।

আরও পড়ুন: নাজুক অবস্থায় দেশের ১২ ব্যাংক

এরপর ব্যাংকখাতে ঋণ অনিয়মের একের পর এক ঘটনা সামনে আসে। খেলাপী ও বেনামী ঋণে ১ ডজনের বেশি ব্যাংক চরম তারল্য সংকট পড়ে। এর জেরে দেশের ব্যাংকখাতে খেলাপী ঋণ ছাড়ায় দেড় লাখ কোটি টাকা। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা বলছে, এদেশের ব্যাংকখাতে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি।

সম্প্রতি নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে একীভূত এবং অধিগ্রহণের ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরইমধ্যে ব্যাংকগুলোকে প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশনের (পিএসএ) জন্য ইউনিট খুলতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের ১৫ থেকে ২০ টি ব্যাংক আর্থিকভাবে নাজুক অবস্থায় আছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। তাই মার্জার, অ্যাকুইজিশন বা লিকুইডিশন প্রক্রিয়ায়, আমানতের অর্থ ফেরাতে বড় অংকের অর্থের সংস্থান করতে হবে সরকারকে।

ঢাকা/এসএ