০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / ১০২৮৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ছবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা দিতে ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এ তহবিলের আওতায় অর্থ নিয়ে কেবল ডিজিটাল পদ্ধতি তথা- ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার হবে বার্ষিক ৯ শতাংশ। ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ছয় মাস। গত ২ জুন এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নির্দেশনার আলোকে, ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ বলতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণকে বোঝাবে। ঋণ বিতরণ থেকে আদায়- সবই করতে হবে ডিজিটাল ব্যবস্থায়। এ ব্যবস্থা ব্যবহার করে একজন গ্রাহককে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। গ্রাহকের ঋণের ক্রমহ্রাসমান স্থিতির ওপর সুদ আরোপ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে ১ শতাংশ সুদে তহবিল দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা শিডিউল অব সার্জেসের বাইরে অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা যাবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই আর্থিক খাত উন্নয়ন জরুরি। এ জন্য সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে আর্থিক পণ্য বা সেবা বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণের সহজলভ্যতা, ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দেওয়া ও তহবিল ব্যয় কমাতে স্বল্প সুদে ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থ ছাড় করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন হবে তিন বছর মেয়াদি। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ছয় মাসের জন্য দেওয়া ঋণ আদায়ের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফেরত দিতে হবে। পরবর্তীতে আবার গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ হবে। গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ ও আদায়ের সব দায়-দায়িত্ব থাকবে ব্যাংকের ওপর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ পুনঃঅর্থায়নের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংশ্নিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব বিকলন করে তা আদায় করা হবে। ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময়ে-সময়ে বিভিন্ন কাগজপত্র চাইতে পারবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে

আপডেট: ১১:৪২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা দিতে ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এ তহবিলের আওতায় অর্থ নিয়ে কেবল ডিজিটাল পদ্ধতি তথা- ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার হবে বার্ষিক ৯ শতাংশ। ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ছয় মাস। গত ২ জুন এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নির্দেশনার আলোকে, ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ বলতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণকে বোঝাবে। ঋণ বিতরণ থেকে আদায়- সবই করতে হবে ডিজিটাল ব্যবস্থায়। এ ব্যবস্থা ব্যবহার করে একজন গ্রাহককে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। গ্রাহকের ঋণের ক্রমহ্রাসমান স্থিতির ওপর সুদ আরোপ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে ১ শতাংশ সুদে তহবিল দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা শিডিউল অব সার্জেসের বাইরে অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা যাবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই আর্থিক খাত উন্নয়ন জরুরি। এ জন্য সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে আর্থিক পণ্য বা সেবা বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণের সহজলভ্যতা, ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দেওয়া ও তহবিল ব্যয় কমাতে স্বল্প সুদে ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থ ছাড় করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন হবে তিন বছর মেয়াদি। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ছয় মাসের জন্য দেওয়া ঋণ আদায়ের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফেরত দিতে হবে। পরবর্তীতে আবার গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ হবে। গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ ও আদায়ের সব দায়-দায়িত্ব থাকবে ব্যাংকের ওপর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ পুনঃঅর্থায়নের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংশ্নিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব বিকলন করে তা আদায় করা হবে। ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময়ে-সময়ে বিভিন্ন কাগজপত্র চাইতে পারবে।

ঢাকা/এসএ