০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

‘ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি, অর্থপাচারকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / ১০৬৫০ বার দেখা হয়েছে

জুনের মধ্যে অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশের হুঁশিয়ারি দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, দেশের সব সম্পদ লুট হয়ে যাচ্ছে। যারা লুট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তোষণ করা হচ্ছে। কারা ব্যাংক লুট করছে, ঋণখেলাপি, অর্থপাচারকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। না হলে আবার সমাবেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি। প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও বেশি। কেননা, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেন না। এসব খোলাপিও দেখানো হয় না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকে শেষ পর্যন্ত শাপলাচত্বর সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের আগেই সমাবেশ করেন তারা। এর আগে পুলিশের সঙ্গে সমাবেশকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।

আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮২ শতাংশ: বিবিএস

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে আপনারা বড়াই করতেন। এখন প্রকৃত রিজার্ভ ১৩ বিলিয়নে নেমেছে। যারা রপ্তানি করে অর্থ ফেরত আনে না তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এখন বসিয়ে বসিয়ে নিজেদের ভাই-ব্রাদারদের ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি খাতে লুটপাট হচ্ছে। আর জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। ভোট ছাড়া যারা সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে তারা হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ তার সেরা উদাহরণ।

সাকী বলেন, ব্যাংক বসে পড়লে আমানতকারী আর টাকা ফেরত পাবে না। সামাল দিতে না পেরে এখন দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। আবার একই ব্যক্তির হাতে একাধিক ব্যাংক দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

‘ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি, অর্থপাচারকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে’

আপডেট: ০৩:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

জুনের মধ্যে অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশের হুঁশিয়ারি দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, দেশের সব সম্পদ লুট হয়ে যাচ্ছে। যারা লুট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তোষণ করা হচ্ছে। কারা ব্যাংক লুট করছে, ঋণখেলাপি, অর্থপাচারকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। না হলে আবার সমাবেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি। প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও বেশি। কেননা, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেন না। এসব খোলাপিও দেখানো হয় না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকে শেষ পর্যন্ত শাপলাচত্বর সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের আগেই সমাবেশ করেন তারা। এর আগে পুলিশের সঙ্গে সমাবেশকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।

আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮২ শতাংশ: বিবিএস

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে আপনারা বড়াই করতেন। এখন প্রকৃত রিজার্ভ ১৩ বিলিয়নে নেমেছে। যারা রপ্তানি করে অর্থ ফেরত আনে না তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এখন বসিয়ে বসিয়ে নিজেদের ভাই-ব্রাদারদের ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি খাতে লুটপাট হচ্ছে। আর জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। ভোট ছাড়া যারা সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে তারা হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ তার সেরা উদাহরণ।

সাকী বলেন, ব্যাংক বসে পড়লে আমানতকারী আর টাকা ফেরত পাবে না। সামাল দিতে না পেরে এখন দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। আবার একই ব্যক্তির হাতে একাধিক ব্যাংক দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ